আরমান খান, লংগদু ॥
‘বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজে বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতনের জন্য পরিস্থিতি যতটা না দায়ী তার চাইতে বেশি দায়ী আমাদের অসচেতনতা। আমাদের প্রকৃত শিক্ষার অভাবে আমরা মনে করি পরিবারে নারী ও শিশুরা অসহায় ও দূর্বল। আমাদের এই মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। সমাজের অনেক দায়িত্বশীল ব্যাক্তিও নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়েন। নারীরা সমাজের অর্ধেক অংশ। সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর অধিকার ও সম্মানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন রোধে ঘর থেকেই সচেতনতা বাড়াতে হবে।’ রাঙামাটির লংগদুতে উপজেলা বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইনুল আবেদীন।
বুধবার সকালে লংগদু পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার। উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক ওয়াছিল মোহাম্মদ রায়হান’র পরিচালনায় সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তরুন চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের আয়োজনে ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহায়তায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়াম্যান আনোয়ারা বেগম, লংগদু সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হোসাইনুল করিম মামুন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বজল আহামেদ চৌধুরী, আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, বগাচত্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, শিক্ষক রিজাউল করিম, কাজী আব্দুল মান্নানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।