বান্দরবান জেলায় ২৯টি মন্ডপে পাঁচ দিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবকে ঘিরে জেলার সাতটি উপজেলায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে স্থানীয় রাজারমাঠে কেন্দ্রীয়ভাবে দুর্গোৎসব আয়োজন করা হয়নি।
উদযাপন কমিটির তথ্যমতে, জেলার সাতটি উপজেলায় সার্বজনীন শারদীয় দুর্গা উৎসব উদযাপন কমিটির ব্যানারে ২৯টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়েছে। তারমধ্যে সদর উপজেলায় ১০টি, রোয়াংছড়িতে ২টি, রুমায় ১টি, থানছিতে ১টি, লামায় ৮টি, আলীকদমে ৫টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২টি। এদিকে পূজা উদযাপনের জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পূজা আয়োজন কমিটিকে দুই লাখ ৮২ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর বাসভবন মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজন কমিটির নেতৃবৃন্দদের কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাওছার হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় দুর্গোৎসব আয়োজন কমিটির সভাপতি লক্ষী পদ দাস, কেন্দ্রীয় দুর্গোৎসব আয়োজন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাস শেখরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কেন্দ্রীয় দুর্গোপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লক্ষী পদ দাস বলেন, বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর শেষ হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবছর স্থানীয় রাজারমাঠে প্রতিবছর আয়োজিত দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে পূজা মন্ডপ তৈরি বাতিল করা হয়েছে। তবে জেলায় ২৯টি মন্ডপে দুর্গোপূজা আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্ডপে প্রবেশ এবং পূজা উপভোগে বাড়তি নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশ সুপার জেরীন আকতার বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে জেলায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পূজা মন্ডপগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে আয়োজক কমিটিদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।