
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় বান্দরবানে হামলার আশঙ্কায় বৌদ্ধ মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন পাহাড়ের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীরা। ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশ প্রহড়া বসানো হয়েছে। টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এ নিয়ে রোববার সকালে বান্দরবান জেলা শহরের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সভাও করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর সদর জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর শফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডিএম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান, রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারন সম্পাদক একে এম জাহাঙ্গীর, রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু উ-গুণ বর্ধনা মহাথের, জ্ঞানরতœ বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ সত্যজিত থের, মারমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি থোয়াইংচ প্রু মাষ্টার, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আলাউদ্দিন ইমামীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের কর্মকর্র্তার জরুরি বেঠকে বসেন ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, শ্রী শ্রী কেন্দ্রিয় দুর্গা মন্দির, বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার, বান্দরবান ক্যাথলিক চার্চসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
সভায় জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে সৃষ্ট ঘটনা মিয়ানমারের অভ্যান্তরীণ সমস্যা। এই সমস্যা আমাদেরও ভোগাচ্ছে। তবে সরকার সব বিষয়ে সর্তক রয়েছে। সকল সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে বাড়তি সতকর্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে হবে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। রোঙ্গিাদের অসহায়ত্বের সুযোগ কেউ যেন কোনো ধরণের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশে বৌদ্ধ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে যাতে কোনো হামলা না ঘটে, সেজন্য প্রশাসন বাড়তি সতর্র্কতা নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারো ক্ষতি হয়, এধরণের কোনো উস্কানিমুলক ছবি ও তথ্য আপলোড করা থেকে বিরত থাকতে সকলকে অনুরোধ জানান।