বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। প্লাবিত অঞ্চলগুলো থেকে নেমে গেছে বন্যার পানিও। স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি’সহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সবগুলো রুটে সবধরণের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, গত’কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে বান্দরবানে প্লাবিত অঞ্চলগুলো থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে দূর্গতরা। অপরদিকে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বরদুয়ারা এবং রাঙামাটি সড়কের পুলপাড়া বেইলী ব্রীজ সড়কের উপর থেকে বন্যার পানি সরে গেছে। সড়কে পানি না থাকায় সবগুলো রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। পাহাড় ধসে মাটি জমে যাওয়া সড়কগুলো থেকে বুলডোজার ও স্কেভেটর দিয়ে মাটি অপসারণ করা হচ্ছে। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর পানিও কমে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুকিপূর্ন বসতিগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিতে কাজ করছে প্রশাসন-পৌরসভার কর্মীরা।
বান্দরবান পৌসভার মেয়র মো: ইসলাম বেবী জানান, পাহাড় ধসের মাটি এবং ময়লা আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছে পৌরসভার কর্মচারীরা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে দূর্গতরা। তারপরও এখনো যারা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে, তাদের পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার উদ্যোগে খিচুড়ি’সহ প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতরোববার থেকে অবিরাম বর্ষণে মঙ্গলবার পাহাড় ধসে বান্দরবানের লামায় একই পরিবারের ৩জন এবং সদরের কালাঘাটায় ১ জনের মৃত্যু হয়। প্লাবিত জেলা শহরসহ আশপাশের নি¤œাঞ্চল। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও।