বান্দরবানে পর্যটক হয়রানি বন্ধ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক। এ ছাড়া পর্যটকদের সুবিধার্থে আগামী এক মাসের মধ্যে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পথে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস সার্ভিস চালু করার জন্য পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পর্যটনবান্ধব জেলা গঠন করতে আজ সোমবার বেলা ১১টায় প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক এই নির্দেশ দেন।
সভায় গণমাধ্যমকর্মী মনিরুল ইসলাম মনু, বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, মিনারুল হক, আলাউদ্দিন শাহরিয়ার অভিযোগ করে জানান, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সড়ক যোগাযোগসহ অবকাঠামোগত শতশত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু পর্যটনবান্ধব শহর এবং যানবাহন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন। বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পথে চলাচলকারী গাড়িগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। গাড়িগুলো যাত্রী পরিবহনের উপযুক্ত নয়। এমনকি পরিবহনগুলোর শ্রমিকরাও পর্যটকবান্ধব নন।
তাই পর্যটক এবং স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার জন্যে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পথে এসি বাস এবং বিরতিহীন বাস সার্ভিস চালু করা প্রয়োজন বলে জানান তাঁরা।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, পর্যটকদের সুবিধার্থে আগামী এক মাসের মধ্যে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পথে এসি বাস সার্ভিস চালু করার জন্য পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবহন মালিকরা ব্যর্থ হলে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পথে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে আবাসিক হোটেল নাইট হেভেন ও সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ভ্রমণ পিপাসুদের হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন অতিথিসহ অংশগ্রহণকারীরা। এ ছাড়া খাবার রেস্তোরাঁ ও পর্যটকবাহী জিপগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে সভায়।
সভায় জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে পর্যটকবান্ধব শহর গড়ে তুলতে প্রয়োজনে কঠোর হবে প্রশাসন। পর্যটক হয়রানির অভিযোগে আবাসিক হোটেল নাইট হেভেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাইরু রিসোর্টের রেস্টুরেন্ট সব শ্রেণির মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। পর্যটক হয়রানি বন্ধে আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালনা করা হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী, সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু, সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর আলী আহসান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইয়াছির আরাফাত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমীন আক্তার, আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ, পরিবহন মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাশ ঝুন্টু, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।