
‘রাতে ভোটগ্রহণ,দিনের ভোটারদের কেন্দ্রমূখী হতে না দেয়া’র অভিযোগ এনে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরুর একঘন্টা পরেই ভোটবর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা এবং তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
এখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দুটি অংশের প্রভাবশালী দুই নেতা বড়ঋষি চাকমা ও সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা মুখোমুখি হয়েছিলেন এবার চেয়ারম্যান পদে।
ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও এবারের প্রার্থী বড় ঋষি চাকমা অভিযোগ করেছেন,‘ গতকাল রাতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে এবং সকাল থেকেই আমার সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া হয়। জনসংহতি সমিতি(এমএনলারমা)র বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ও সশস্ত্র কর্মী এলাকায় অবস্থান নিয়ে ভোটসন্ত্রাস করলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম। আমার সাথে আরো তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীও নির্বাচন বর্জন করেছে।’
রাঙামাটির রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামাল জানিয়েছেন,বাঘাইছড়িতে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও একাধিক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আমরা শুনেছি। অন্যান্য উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও থেকে কোন অভিযোগ পাইনি।’ বড় ঋষি চাকমার লিখিত অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে রাঙামাটি সদরের বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকে পরিদর্শন করে ভোটারদের কেন্দ্রবিমূখ দেখা গেছে। পৌর এলাকায় রিজার্ভবাজারের কেন্দ্রগুলোতে মোটামুটি লাইন দেখা গেলেও তবলছড়ি এলাকার তিনটি কেন্দ্রের কোথাও ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি,সকাল আটটা থেকে সাড়ে নয়টা অবধি। শহরের কেন্দ্রগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের তৎপরতা দেখা গেছে প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরেও। কিন্তু রিজার্ভবাজার ও তবলছড়ির কেন্দ্রগুলোতে আনারস প্রতীকের এজেন্ট দেখা যায়নি।
সদর উপজেলায় প্রার্থীদের তরফ থেকেও এই সময়ের মধ্যে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।