খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রকে ২১ঘন্টা পর মৃত পাওয়া গিয়েছে৷ নিখোঁজ তৎময় চাকমা (২১), অক্ষয় মেম্বার পাড়ার স্মৃতিময় চাকমা ও অনুজা চাকমা দম্পতির ছেলে। সে পানছড়ি সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী। রাত ১১টার দিকে রাবারড্যাম এলাকায় বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যায়। স্থানীয় গ্রামবাসীর পর রাঙামাটি থেকে আগত ডুবুরি দলও তার খোঁজ পায়নি। ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা, স্রোতের তোড়ে রাবারড্যাম এলাকা থেকে ভাটির দিকে ভেসে গিয়েছে ধারণা করলেও, অবশেষে দূর্ঘটনা স্থলেই ভেসে উঠে মরদেহ।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে তৎময় চাকমার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার মামা নোন্টু চাকমা জানান, শনিবার রাতে সে শান্তিপুর রাবার ড্যাম এলাকায় বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যায়। সে জাল দিয়ে মাছ ধরতে জানে না। বন্ধুদের সাথে থেকে মাছ ধরার এক পর্যায় সে ও এক বন্ধু নদীতে রাবার ড্যামের পিচ্ছিল পাকা মেঝেতে অসাবধানতাবশত আছাড় খায়। এবং অনেকখানি দূরে ভেসে গিয়ে উঠে দাঁড়ায়৷ পরে বন্ধু বালু চড়ার দিকের তীরে উঠে এবং অপর পাড় থেকে তৎময় লাইটের আলোয় আর চিৎকার দিয়ে বন্ধুর খবর নেয়। তৎময়কে বন্ধুরা তার তীরের দিকের উপর দিয়ে উঠে আসতে বললেও, সে বন্ধুর মতো বালু চড়ার তীরের দিকে নদী সাঁতরিয়ে আসতে চায়। এরপরই দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে ও দিনভর জেলেরা খোঁজ করলেও পাওয়া যায়নি। রাঙামাটি থেকে ডুবুরি দল এনেও সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ ভেসে উঠে।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সালাউদ্দিন জানান, জায়গাটিতে কংক্রিটের বোল্ডার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। খুব স্রোত ও পিচ্ছিল স্থান। আমরা স্থানীয়দের দেখিয়ে দেয়া ও সম্ভাব্য সব জায়গাতে আমরা খুঁজে দেখেছি কিন্তু পাইনি। তবে খোঁজখবর নেয়া অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল হোসেন বলেছিলেন,‘ স্থানীয় মানুষজন ও ডুবুরি দল আশপাশের সম্ভাব্য সব জায়গাতে খোঁজ নিয়েও পায়নি।’ পরে রাতে ছেলেটির মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।