
তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর বক্তব্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর সেসব খবরের নিচে কমেন্টস বক্সে বেশ কিছু কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। নামে-বেনামের বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে এসব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যগুলো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ চিনু।
গত ২৮ জানুয়ারী রাঙামাটিতে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন সাংসদ চিনু।
এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর বক্তব্যর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সেসব নিউজ লিংকের নিচে আজেবাজে কমেন্টস করা হচ্ছে। অশ্লীল,কুরুচিপূর্ণ,সাম্প্রদায়িক,উস্কানিমূলক,নারী ও জাতি বিদ্বেষী এবং চরম অবমাননাকর এসব স্ট্যাটাস দাতাদের বেশিরভাগই পাহাড়ী তরুণ তরুণী এবং এদের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এইসব আইডি ব্যবহারকারিদের একটি বড় অংশই আঞ্চলিক দলগুলোর নেতাকর্মী। তবে এসব পোস্ট ও কমেন্ট দাতাদের আইডির বেশিরভাগই ভূয়া বলে চিহ্নিত করেছেন অনলাইন এক্টিভিস্টরা। মূলত: পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত বিরোধ সৃষ্টি করা এবং উস্কানির মাধ্যমে সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
শুধু মাত্র ২৮ তারিখের অনুষ্ঠানের নিউজ লিংক নয়, এর আগেও সাংসদের বেশ কিছু নিউজ লিংকের নিচেও এই ধরনের আইডি থেকে বাজে কমেন্টস করা হয়।
এই বিষয়ে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি চায়না এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করে রাখতে চায় তারাই মূলত: এসব নোংরামি করছে। এটা স্পষ্ট যে, যারা দেশ থেকে এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাই এধরনের প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তিনি এই ব্যাপারে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতিও প্রদান করেছেন। একই সাথে তিনি এসব অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান জানান, অভিযোগ পেলে এসব আইডির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
ফিরোজা বেগম চিনুর বিবৃতি
এদিকে টানা এসব অপপ্রচারও উস্কানির পর মঙ্গলবার গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছেন সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটির বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষাপটে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালে আমাকে হেয় করে আক্রমনাত্মক ভাষায় অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণভাবে মন্তব্যসহ গালি-গালাজ প্রকাশ করছে। আমি মর্মাহত হয়ে লক্ষ্য করছি যে, শিক্ষিত মুখোশের আড়ালে পাহাড়ের একটি বিশেষ শ্রেণীর কিছু উঠতি বয়সী যুবকের করা কুরচিপুর্ন বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের কুৎসিত চেহারার বর্হিপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। ’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য তথাপি রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে পাহাড়ের নিপীড়িত জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে আমি আমার অবস্থান থেকে তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা মহান জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন ফোরামে-সেমিনারে এবং সভা-সমাবেশে নিরপেক্ষতার সাথে বক্তব্য প্রদান করে আসছি।
দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডটা রক্ষায় এবং জাতীয় নিরাপত্তাসহ জনসাধারনের অধিকার আদায়ে কথা বলাটা একজন সচেতন রাজনৈতিককর্মী এবং দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমার কর্তব্য বলে আমি মনেকরি। সেই ছাত্রজীবন থেকে এই কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় অতীতে যেমন কোনো ঘাটতি ছিলোনা তারই ধারাবাহিকতায় এখনো কথা বলে যাচ্ছি, এবং ভবিষ্যতেও আমার এই ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আমি দৃঢ় প্রত্যয়ি।’
ফিরোজা বেগম চিনু বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই যে যে ভা যারাই এই ধরনের কুরচিপূর্ণ প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আমাকে জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছেন তারা কোনো ভাবেই আমাকে সাধারণ জনসাধারণ ও নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবেননা। তবে আমি এও মনে করি বর্তমান আধুনিক আইনী কাঠামোয় ডিজিটাল জগতে এই ধরনের প্রোপাগান্ডা সাইবার অপরাধ বা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। কারণ সমাজে কলুষতা ছড়ানো কুচক্রিদের থামানো নাগেলে তাদের এই বিষবাষ্প সামাজিক বন্ধনকে বিষাক্ত করে গড়ে তুলবে। তাই তাদের এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্যে আমি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
যারা এমন কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি, এবং ভবিষ্যৎ এর জন্য সাবধান হবার তাগিদ দিচ্ছি।
এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক।
ম্যাডাম এটা ভুলে গেলে চলবেনা যে,
আপনি একজন মহিলা সংরক্ষিত আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। আপনার স্ট্যাটাস, শেয়ার, মন্তব্য অত্যন্ত গভীরবাবে বুঝেশুনে দিতে হবে। আমাদের মত সাধারণ জনগণের অনেক উর্দ্ধে আপনি। আপামর জনগণের সেবায় নিয়োজিত। যেখানে কোন জাতির ভেদাভেদ থাকবেনা। জনগণেরও বুঝা উচিৎ একজন মাননীয় সংসদ সদস্যর সাথে আচরণ কিভাবে করতে হয়।
এহেন মন্তব্যকারীকে আইনের আওতায় আনা উচিত
https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fshar.es%2F1NE4Hl&h=ATNCAYUj0RyokpL3IGXcHvE5wUPVxEbMQroxxe5rKZ4Wb3r_Kl2JuRGrdnL7RAQx5FQ0UcETbcJ1dbSha_TUTUdLFsEd8hWDzuaA4-5FMIX6u3KN93Cu4RKYgdD3FpGXqnod_Vjt7Bfx7Mt3IXQw5nAWxtrHn0_Q68wyyz0ecTO4zqZwkm_rnBYaI2X9-in_ac5bpzs9Y5meGf0CeE-ZLoNRrJi-rvag3zCJOEeQb7KYOb5H6FV0C7tsvZrEh8s3KKHXEAal29GEjKZWWD1sOi3HGrEb7-at