
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে আজও সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে মিয়ানমার। কাটাতারের বেড়ার কাছেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। তবে নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি’র কোনো জনবল বাড়ানো হয়নি। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা।
প্রশাসন-বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে নিপীড়ন নির্যাতনের কারণে পালিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু কোনাকখালের পাড়ে শূণ্যরেখায় আশ্রয় নেয়া প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গা’কে ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত বুধবার থেকে সীমান্তের তুমব্রু পয়েন্টে দফায় দফায় পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ পিকআপ ভ্যান সেনা-বিজিবি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে। আজ রোববার সকালেও সীমান্ত অঞ্চলে শতাধিক সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে মিয়ানমার। পিকআপ ভ্যান এবং মোটর সাইকেলে করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনা-বিজিপি। মিয়ানমার অভ্যন্তরিন নিরাপত্তার কথা বলে তুমব্রু সীমান্তে কখনো সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে। আবার হঠাৎ করেই সংখ্যা কমিয়ে সেনাদের কাটাতারের বেড়ার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আব্দুল খালেক জানান, সীমান্তে নতুন করে মিয়ানমারের সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি বিষয়টি তাদের জানানেই। মিয়ানমার অভ্যন্তরিন নিরাপত্তার প্রয়োজনে সীমান্তে সেনা-বিজিপি’র টহল বাড়িয়েছে বলে মিয়ানমার আমাদের জানিয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যক্ষেন করছেন বিজিবি। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সীমান্ত সুরক্ষায় সতর্ক প্রহড়ায় রয়েছে।
তুমব্রু সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ এবং রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ, নূর হোসেন বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের সেনা সংখ্যা কমানো হলেও রোববার সকালে আবারো বৃদ্ধি করা হয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি কাটাতারের বেড়ার কাছেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রহড়া দিচ্ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন শূন্যরেখার রোহিঙ্গা এবং তুমব্রু সীমান্ত অঞ্চলের মানুষেরা।