
রাঙামাটির ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রের ১৩ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারে বেইন বুনন ও শুক্রবার সকালে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন,বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধ মূর্তিদান, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্য টাকা দানসহ নানাবিধ দানে বিকালে কঠিন চীবর দান, কল্পতরু দানের মধ্যে শেষ হয় দু’দিন ব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে অন্যতম বড় পাহাড় হওয়ার পরেও বিহারে হাজারো পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনুষ্ঠানে প্রায় বিশ হাজারের পুণ্যার্থীর মিলন মেলায় পরিণত হয়। পুরো বিহার মুখরিত হয়ে উঠে। দুপুরে কঠিন চীবর ও কল্পতরুকে বেইনঘর প্রদক্ষিণ করে বেইনঘরসহ বিভিন্ন স্থানে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। ঢোলের তালে নেচে নেচে কঠিন চীবর কল্পতরুকে প্রদক্ষিণে বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির ও উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশুতোষ চাকমা। এসময় বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদার দানবীর চাকমা, উদযাপন কমিটির বিভিন্ন পদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে পঞ্চশীল প্রার্থনা পাঠ করেন ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির ও উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন মনি চাকমা (বিপিন)। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সঙ্গীত শিক্ষক বিজ্ঞান্তর চাকমা।
অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির, ধর্মপুর আর্য্য বন বিহারে অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভদ্দজী মহাস্থবির, নানিয়ারচর রতœাংকুর বনবিহারের অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির, কান্দবছড়া মুনিরতœ জেতবন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ করুণা কীর্তি মহাস্থবির, রাজবন বিহারের অন্যতম শ্রীমৎ জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবিরসহ অন্যান্যরা।