হেফাজত সবুজ/সৈকত বাবু
‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে, মুক্ত করো হে বন্ধ’-এই শ্লোগানে রাঙামাটিতে বরণ করা হলো বাংলা নবর্বষ ১৪২৯। নানা বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে দিনটি।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ বর্ণিল সাজে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এবারের শোভাযাত্রায় পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অংশ নেয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পোশাকের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের পাহাড়ি জীবনধারাকে তুলে ধরা হয়। যা শোভাযাত্রাকে করেছে বৈচিত্রময়।
শোভাযাত্রা শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এমন উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে সকলের মাঝে সম্প্রীতি ও সোহার্দ্য বজায় থাকবে তেমনটাই প্রত্যাশা অয়োজকদের।
বাংলা নবর্বষ বরণে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এসব কর্মসূচীর আয়োজন করেন। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকতার,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী,রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেনসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) শিল্পী রানী রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: মামুন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাঙামাটি জেলা ইউনিট ডেপুটি কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম,রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনতোষ মল্লিক, বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন প্রমুখ
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিগত দুইবছর করোনা মহামারীর কারনে প্রাণের নবর্বষ উদযাপন করতে পারিনি। এবার জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। রমজান চলছে আমারা রমজানের পবিত্রাও রক্ষা করছি। আমাদের এই পার্বত্য অঞ্চলে এ অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি অনেক বেশী। অনেক আগে থেকেই এ আয়োজন শুরু করে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তার সাথে আমাদের এই বাংলা নবর্বষ বরণ উৎসব মিলে পুরো পার্বত্য জনপদ উৎসবের নগরীতে পরিনত হয়েছে। এমন উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রত্যাশা করি পাহাড়ে বসবাসরত সকলের মাঝে সম্প্রীতি সোহার্দ্য বজায় থাকবে ‘