
খাগড়াছড়ি শহরে পোস্টারিং নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম হয়েছে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রধান ও সাবেক পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসীত খীসার ফাঁসি দাবি করে পোস্টারিং করেছে নব্য সৃষ্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)। দলটির তথ্য ও প্রচার বিভাগ থেকে এটি প্রকাশিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষত বৈসাবি চলাকালে সারা শহরজুড়ে এই পোস্টারিং করা হয়। রঙিন এই পোস্টারে শিরোনামে উল্লেখ করা হয় ‘সত্যের জয় অনিবার্য’। পোস্টারে ইউপিডিএফ প্রধান প্রসীত খীসাকে জুম্ম জাতি ধ্বংসকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া ৫০০০ এর অধিক জুম্ম হত্যাকারী হিসেবে প্রসীত খীসার ফাঁসি দাবি করা হয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে এই পোস্টারিং করা হয়। তবে পোস্টারে ৫০০০ জুম্ম হত্যার তথ্যটি নজর কেড়েছে অনেকের। এ বিশাল সংখ্যার হত্যাকান্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে ধু¤্রজাল, বির্তক।
নব্যসৃষ্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সূত্রে জানা যায়, ‘পাহাড়ের শান্তি চুক্তির বিরোধিতার কারণে এত হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে। এসবের জন্য প্রসীত খীসা দায়ী।’ তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চুক্তি পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ ৭ শতাধিক নেতাকর্মী ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে মারা যায়’। তবে পোস্টারিং বিষয়ে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ এর অন্যতম সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন,‘ বিভিন্ন সময় ইউপিডিএফ এর নামে নানা পোস্টারিং, অপপ্রচার করা হয়েছে। এসব পোস্টারিং এর ভাষা জনগণ আমলে নেয় না। এর আগে বাঙালি ছাত্র পরিষদ একটি সংগঠনও একই কাজ করেছে। মুখোশ বাহিনী (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) যে স্থান থেকে সৃষ্টি সেই একই জায়গা থেকে পোস্টার আসে। এসব পোস্টারের জন্ম এক জায়গায়, একইসূত্রে গাঁথা। মুখোশ বাহিনীর পিতারা তাদের পুত্রদের এসব পোস্টার সরবরাহ করেছে। পোস্টারে ৫০০০ জুম্ম জাতি হত্যার পরিসংখ্যান তাদেরকে দিতে বলেন।’
নব্য সৃষ্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লিটন চাকমা বলেন,‘জেএসএস ও সরকারের মধ্যে সম্পাদিত শান্তি চুক্তির বিরোধিতার কারণেই আজকে পাহাড়ে এত রক্ত ঝরছে। ১৯৯৭ সালের পর থেকে জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ (প্রসীত), জেএসএস (এমএন লারমা) মধ্যে বহু রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়েছে। এতে বহু জুম্ম জনগণের মৃত্যু ঘটেছে। ‘পাঁচ হাজার জুম্ম হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ বিভিন্ন সময় অনেক জুম্ম জনগণকে গুপ্ত হত্যা করা হয়েছে। এসব অগোচরে ছিল। সবমিলিয়ে চুক্তি পরবর্তী সময়ে প্রায় ৫০০০-৬০০০ জুম্ম জনগণকে হত্যা করা হয়েছে। প্রসীত খীসা চুক্তির বিরোধিতা না করলে এসব হত্যাকান্ড হত না। ফলে হত্যাকান্ডের দায়ভার প্রসীত খীসার ওপর বর্তায়।’
প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ১৫ নভেম্বর ২০১৭ সালে ইউপিডিএফ থেকে বহিষ্কৃতদের একাংশ সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন দল গঠন করে। সংবাদ সম্মেলনে তপন জ্যোতি চাকমাকে আহ্বায়ক ও জলেয়া চাকমাকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করে। নবগঠিত ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা (বর্মা) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে দলটি(ইউপিডিএফ) গড়ে উঠলেও বর্তমানে সম্পূর্ণ আর্দশচ্যুত হয়েছে।’(বিজ্ঞপ্তি)
এডমিন তুই যে একটা পাকিস্তানের জারজ সন্তান তা বুঝার বাকি রইল না।