জিয়াউল জিয়া
‘রাঙামাটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়ার পরও সড়কের পাশে যেভাবে বর্জ্য দিনের পর দিন পড়ে থাকে,এতে পর্যটকদের কাছে রাঙামাটির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। গত ২৫ মে অনেক ভিআইপি লোকজন রাঙামাটি আসার ফলে সড়ক যেভাবে পরিস্কার ছিল তারপর আর সেটি দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পর সড়ক যেনো গরু আর ছাগলের দখলে চলে যায়। এভাবে একটি পৌরসভা চলতে পারেনা।’
রবিবার সকালে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব কথা বলেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ‘একটাই পৃথিবী, প্রকৃতির ঐক্যতানে টেকসই জীবন’- এই প্রতিপাদ্যে রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে এবারের দিবসটি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভার আগে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে দুইটি করে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ইউ এস এ বন বিভাগ আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ, রাঙামাটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সালে মোহাম্মদ সোয়াইব খান, রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম সহ পদস্থ কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী। পরিবেশ দুষণের অন্যতম প্রধান কারণ শিল্পকারখানার বর্জ্য । বর্জ্য বিভিন্ন জায়গায় ফেলার কারনে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এই বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরী। একই সাথে পরিবেশ সংরক্ষণে সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাঙামাটির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সালেহ মোহাম্মদ সোয়াইব খান বলেন, পাহাড়ে জুম চাষ বন্ধে উদ্যোগ নেয়া জরুরী। জুম চাষের ফলে পাহাড়ের পরিবেশ দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে। যারা জুম চাষের সাথে জড়িত তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে তাদের সচেতন করতে হবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরো বলেন, আমরা নিজেরা সচেতন হলেই সব সমস্যা সামাধন সম্ভব। রাঙামাটি পর্যটন এলাকা। এখানে প্রতিদিন নানা জায়গা থেকে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসে। কিন্তু তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যায়। ’