পাহাড়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি দীপংকর ও মুছা’র
‘আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ’কে আরেকটি ভাইরাস বললেন দীপংকর

শুক্রবার রাঙামাটিতে সচিব পবন চৌধুরীর সাথে ত্রান সমন্বয় সভায় অংশ নিয়ে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের দুই শীর্ষ নেতা দীপংকর তালুকদার ও মুছা মাতব্বর পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী তৎপরতার বিষয়টি তুলে ধরে আবারও পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর বলেন, করোনাকালীন সময়ে সাধারন মানুষ এই মহামারি থেকে নিজেকে ও দেশকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসীরা। বিশেষ করে রাজস্থলী, কাপ্তাই, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়িতে এদের তৎপরতা বেশি বলে অভিযোগ করেন এই নেতা। সকল বাহিনীকে তাদের ব্যাপারে আরো তৎপর হতে অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, এসব উপজেলায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, তাদের প্রতি যাতে একটু আলাদা নজর দেয়া হয় সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি আরও একটি ভাইরাস আমাদের পাহাড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তা হলো আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। তারা এই মহামারিতেও থেমে নেই, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, খুন চালিয়ে যাচ্ছে। এদের ব্যাপারেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
সচিব পবন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যদিও এটা আপনার কাজ নয়, তথাপিও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা হলে সেখানে এটি উপস্থাপন করবেন। এখানকার সাধারণ মানুষ এদের কাছে অসহায়।
জবাবে সচিব পবন চৌধুরী বলেন, আমার দৃষ্টিতে রাঙামাটি হলো বাংলাদেশের সুইজারল্যান্ড। এখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ অসাধারণ। যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করবে। কিন্তু কিছু প্রতিকূল দিকও আছে, সেটাই এখানকার প্রধান সমস্যা। শান্তি বিরাজ না করলে কোন অগ্রগতি হয়না। মনে রাখতে উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হলো শান্তি। নিশ্চুপ থাকা মনেই সব ঠিক আছে ব্যাপারটা তেমন নয়। সেখানেও শঙ্কা থাকে। একটা বিষয় সবাইকে মনে রাখতে হবে অগ্রযাত্রার সাথে তাল মেলাতে না পারলে আপনি বিচ্যুত হবেন, পিছিয়ে পড়বেন যোজন যোজন দূর। অর্থনৈতিক মুক্তিকে বাধা গ্রস্থ করলে দায় নিজেদের ওপরই পরে।’