পাহাড়ে মা ও শিশু’র পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করছে ‘লীন’
খাগড়াছড়িতে পুষ্টি কার্যক্রমে বাজেট বিশ্লেষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা

পার্বত্য চট্টগ্রামে মা ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করছে ‘লীন’ প্রকল্প। মূলত: প্রান্তিক ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্টির শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারি মাসহ সব নাগরিকদের পুষ্টিহীনতা দূরীকরণেই ২০১৯ সাল থেকে তিন পার্বত্য জেলায় ‘লীন’ পুষ্টি সুশাসন বিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার ১৮টি উপজেলায় এবং ৭৮টি ইউনিয়নে এই কাজ চলছে। এর মাধ্যমে কেবল খাগড়াছড়ি জেলায় ৫টি উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নের ৭৫ হাজার মানুষ পুষ্টি কার্যক্রমের আওতায় আসবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পুষ্টি কার্যক্রমে বাজেট বিশ্লেষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কর্মশালার উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল জাব্বার, সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ, লীন প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক নিখিল চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মর্তূজ আলী, সমাজসেবার উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাধন চাকমা, লীন প্রকল্পের জেলা টেকনিক্যাল সমন্বয়কারী হেপি দেওয়ান, শ^াশতী দেওয়ান প্রমূখ।
কর্মশালায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পুষ্টি কার্যক্রমে বাজেট বরাদ্দ ও দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। লীন কার্যক্রমে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর অংশগ্রহন নিশ্চিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কংজরী চৌধুরী বলেন, গর্ভবতী, দুগ্ধদানকারী মা এবং শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নে ‘লীন’ এর কার্যক্রম প্রশংসনীয়। তবে, এই তৎপরতায় আরো মনিটরিং বাড়িয়ে কার্যকরভাবে লীনের কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে প্রচার ও প্রসারে প্রয়োজনে মিডিয়ার মাধ্যমে আরো বেশি তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি যার যার অবস্থান থেকে কাজ করারও অনুরোধ জানান।