লিমা চাকমা। শহরের শিমুলতলি এলাকার লারমা পাড়ার বাসিন্দা। গেল ১৩ জুন রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনার পর থেকে আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় রোববার প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার খবর পেলেও হতাশ হয়ে বসে আছে শহরের রাজবাড়ি এলাকার জিমনেশিয়াম আশ্রয়কেন্দ্রে।
স্বামি-স্ত্রী দুই-জনের সংসার। তার স্বামী উদয়ন চাকমাও স্নাতক বর্ষে পড়েন। সংসার আর চাষাবাদের পাশাপাশি লিমা নিজেও চালিয়ে যাচ্ছেন তার পড়ালেখা।
সোমবার বিকেলে আলাপকালে তিনি বলেন, বাবা-মায়ের বাড়িতে থেকেও ভালোভাবে লেখাপড়া করার সুযোগ পাইনি। তবে স্বামীর সংসারে এসে সুযোগ পেয়েছি পড়ালেখা করার। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কাউখালি খাগড়া কলেজ থেকে ২.৫০ কৃতকার্য হয়েছি। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে পাশের আমেশটাও নিতে পারছি না।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে এভাবে আর কতদিন থাকবে? আমাদেরকে তাড়াতাড়ি পুনর্বাসন করা দরকার। সামনে আবার ভর্তি কার্যকম শুরু হবে। আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে নিজের চলাফেরা করতে কষ্ট। ভর্তি হওয়ার টাকা পয়সা পাবো কই? এখানকার মানুষগুলো এভাবে আর কয়দিন পড়ে থাকবে। সবারই তো ছেলে-মেয়ে, ঘর সংসার আছে।
উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই (রোববার) দেয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এজেলার পাশের হার ৪৪.৮৫ শতাংশ। এর মধ্যেই জিপিও ফাইভ পেয়েছে মাত্র ৪জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে রাঙামাটি সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের তিনজন ও শহরের অন্যতম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞানের ১জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন।
4 Comments
তোমার জন্য শুভ কামনা।
Gorib ole hono hissu noi
God bless you.
শুভ কামনা তোমার জন্য