পাহাড়ের ভূমি সমস্যা সমাধানে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সভা হয়েছে। খুব শীগ্রই তিন জেলায় কমিশনের শাখা অফিসের কার্যক্রম চালু হবে। বুধবার দুপুরে স্থানীয় সার্কিট হাউজ মিলনায়নে কমিশনের সভাশেষে গনমাধ্যমকর্মীদের জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান। এদিকে সকালে এগারোটায় শুরু হওয়া সভাটি শেষ হয় দুপুর দু’টায়। প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী চলে এক বছর পর বান্দরবানে দ্বিতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত কমিশনের সভাটি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরেন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা, রাঙামাটি চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশিষ রায়, খাগড়াছড়ি মং রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, বান্দরবান বোমাং রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষক্ষেত চাকমা, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোমেনুর রশীদ আমীন উপস্থিত ছিলেন। তবে নয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরি চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেননা।
জানাগেছে, এ পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় ২২ হাজার ৮৮১টি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে বান্দরবান জেলায় ৪ হাজার ৫৬৮টি, রাঙামাটি জেলায় ৯ হাজার ৯৪০টি এবং খাগড়াছড়ি জেলায় ৮ হাজার ৩৭৩টি। সভায় ভূমি কমিশনের জনবল সংকট, বিধিমালা প্রণনয়ন এবং ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির জন্য জমা পড়া আবেদনপত্র’গুলো যাচাই বাছাই নিয়ে ফলপ্রসু আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক বলেন, কমিশনের বিধিমালা প্রণয়নের কাজটি অনেকদূর এগিয়েছে। তিন জেলায় কমিশনের তিনটি শাখা অফিসও ঠিক হয়ে গেছে। আপাতত বান্দরবান এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনে ২টি কক্ষে কাজকর্ম দ্রুত শুরু হবে। কমিশনের সদস্যদের কিছুটা সমস্যা থাকায় আপাতত খাগড়াছড়িতে কোনো সভা হচ্ছেনা। আগামী সভাটি রাঙ্গামাটি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ভারত থেকে প্রত্যাগত শরণার্থীদের ভূমি সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করবো। কারণ তারা এখানে ভূমি থেকে বাস্তচূত হয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যগুলোও সমাধানে কাজ করা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরেন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা বলেন, আমরা যতটুকু আশা করি এবং পাহাড়ের মানুষরা যতটুকু আশা করেন। সে অনুপাতে’তো আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারছিনা। কেন করতে পারছিনা, সেটি বলতে গেলে অনেকগুলো বিষয় চলে আসবে। কারণটা সকলেরই জানা। আমার এ মুহুর্তে বলা সম্ভব হবেনা। তবে আমি কোনো সভায় অনুপস্থিত ছিলামনা। সবগুলো মিটিং এ উপস্থিত হয়েছি, কমিশনের কাজকর্ম এগিয়ে নিতে। মিডিয়ার সহযোগীতা আমাদের প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত: গতবছরের ১৬ জানুয়ারী বান্দরবান সার্কিট হাউজে পূর্নগঠিত ভূমি কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এইমাত্র প্রকাশিতঃ
- কাপ্তাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা আদায়
- ক্ষোভে শ্বশুরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জামাই
- দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত দেড় লাখ গাছের চারা রোপণ দক্ষিণ বন বিভাগের
- বিদ্যালয়ের গেইট পড়ে শিশু মৃত্যু; মাঠে তদন্ত কমিটি
- নানিয়ারচরে কাজু বাদাম ও কফি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান
- ওয়াগ্গা পাগলী পাড়া ফুকির মুরং ঝর্নায় বাড়ছে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়
- কাপ্তাইয়ে পর্যটনে অপার সম্ভাবনা রয়েছে: ইউএনও
- কাপ্তাই হ্রদে শেষ হচ্ছে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা, প্রস্তুত জেলেরা