খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের ভুলে, ইংরেজী প্রথম পত্রে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে ৪৭জন পরীক্ষার্থী । এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিক্ষাজীবন। সোমবার (০৫/০২/২০১৮) কেন্দ্র-১ পানছড়ি মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষায় উল্লিখিত কেন্দ্রে ৪৭জন বিগত বছরের (১৭সালের) পরীক্ষার্থী ছিল। এসব পরীক্ষার্থীর জন্য ছিল আলাদা প্রশ্ন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সাথে চলতি বছরের একই প্রশ্নে তাদের পরীক্ষা নেয়। এরফলে ঠিকঠাকভাবে উত্তর লিখতেও পারেনি তারা। পরীক্ষার্থীরাও বুঝতে পারেনি যে তারা ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছে । পরীক্ষা শেষে এই ভুল ধরা পড়লে, স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক- অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মাঝে নেমে আসে হতাশা।
পুরনোদের জন্য চলতি বছরের পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র বিতরণ ভুলবশত হয়েছে দাবী করে পানছড়ি-১ এর কেন্দ্র সচিব বেলী চাকমা বলেন, এটা ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। তাছাড়া আগে প্যাকেটের গায়ে বড় করে পুরাতন লিখা থাকতো কিন্তু এবার পাতলা করে ১৭ লিখা ছিল । তাই বুঝতে সমস্যা হয়েছে। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি নিজেই এ’ ব্যাপারে বোর্ডে লিখিত আবেদন নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন।
উল্লেখ্য কেন্দ্র-১ এ এবার নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬জন, পূজগাং মুখ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১জন ও পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০ জন পরীক্ষার্থ রেফার্ড পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এ বিষয়ে পুজগাং মূখ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক বিজয় কুমার দে বলেন, “আমাদের এই ২১জন পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর আগেই হারিয়ে গিয়েছে। এখন যদি আবার আরেকটি বছর হারিয়ে যায়,তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।” শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যেন ব্যাহত না হয়,সেজন্য তিনি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ’ ব্যাপারে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, কেন্দ্র সচিব বেলী চাকমা এ ব্যাপারে আমাকে অবগত করার পর, আমি এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি ) স্যারের সাথে যোগাযোগ করেছি। এডিসি স্যার, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এদিকে এ ঘটনায় অভিভাবক মহলের মনে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভবিষৎ নিয়ে পড়েছেন চরম দুঃচিন্তায়। তাঁদের দাবী, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সেজন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। নইলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবেন।
১ Comment
শিক্ষামন্ত্রী নিজেও যে জিপিএ পাইপ!