রাঙামাটিতে রবিবার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে দীপংকর তালুকদার বলেছেন, একাত্তরে পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের স্বজনরা এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় আছে,তারাই পাকিস্তানি আইএস এর সাথে মিলে পাহাড়কে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্রধারীরা শুধু চাঁদাবাজি নয়,অস্ত্রবাজি নয়,তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, স্বাধীন জুম্মল্যান্ডের,পতাকা কি হবে,মুদ্রা কি হবে,এগুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সুতরাং আমরা আইনশৃংখলাবাহিনীকে বলব,সতর্ক দৃষ্টি রাখুন এবং যারা এমন দেশবিরোধী কর্মকান্ড করছে তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিন।’
তিনি রাঙামাটির চাঁদাবাজির বিষয়ে বলেন,পাহাড়ের অন্যতম অর্থনৈতিক কাজ গাছ ও বাঁশ। প্রতি পারমিটে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা,বাড়তি পাঁচ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে এখন ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে হাওলাদ,শিয়ালের কাছে মুরগি যদি বর্গা রাখি ,সেটা কি আর ফেরত পাওয়া যায় ?’
সন্তু লারমাকে উদ্দেশ্য করে দীপংকর তালুকদার বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন প্রয়োজন স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল অবস্থা। চুক্তি আপনি বাস্তবায়ন চান,আমরাও চাই। আসুন একসাথে চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানাই,আপনিও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে সোচ্চার হোন,সক্রিয় হোন। আইনশৃংখলা বাহিনী যদি চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে কাউকে ধরে আপনি দয়া করে বলবেন না,এরা আমার মানুষ। চাঁদাবাজদের কোন জাত নাই,অস্ত্রবাজদের কোন নীতি নাই,এই নীতিহীন আদর্শহীনদের নিয়ে আমরা কেউ কখনো ভালো কাজ করতে পারব না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে আপনিও সামিল হোন,চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিন,তবেই পাহাড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করবে। নতুবা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কষ্টকর হবে।’
দীপংকর তালুকদার রাঙামাটির সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদারকে ইঙ্গিত করে অভিযোগ করেন, আজকেই (রবিবার) সকাল দশটায় একটি সরকারি অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারদের সাথে সভা করেছেন এবং একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে শতকরা পাঁচভাগ চাঁদা হিসেবে দিতে হবে এবং টাকাগুলো ওই নির্বাহী প্রকৌশলীকে জমা দিতে হবে বলে ঠিকাদারদের জানিয়েছেন। আমি দুর্নীতি দমন কমিশন ও সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুরোধ করবো,ওই নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।’
1 Comment
সেটেলার রা কি বলে