রাঙামাটির লংগদুতে যুবলীগ নেতা নয়ন হত্যাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম। এসময় মন্ত্রী উপজেলার বাইট্যাপাড়া,তিনটিলা ও মানিকজোরছড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়ী লোকজনের সাথে কথা বলেন । পাহাড়ীরা তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ছাড়া তারা সরকারের কোনো সহায়তা নেবেন না বলে জানান । মন্ত্রী তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসমূহকে সম্মানজনক পূর্ণবাসন করা হবে ।
এরপর মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নয়নের পরিবারের সাথে দেখা করেন। তাদের শোকহাত পরিবারকে সমবেদনা জানান । এসময় মন্ত্রী নয়নের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান । একমাত্র ছেলের লেখা পড়ার দায়িত্ব সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার নিবেন বলে আশ্বাস দেন । এছাড়াও নয়নের দরিদ্র পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দেন । এসময় মন্ত্রী নয়নের স্ত্রী জাহেরা বেগমের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেন ।
মন্ত্রী তিনটিলা বনবিহার এলাকায় আশ্রয় নেয়া পাহাড়ী রোকজনের সাথে কথাবলেন,তিনি তাদেরকে ধৈর্য্য ধরার আহব্বান জানান । তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী আপনাদের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন । আমরা তার নির্দেশে আপনাদের কাছে এসেছি ।আপনাদের সম্মানজনক পূর্ণবাসন করা হবে ।
পরে ১৪ দলের নেতারা লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা করেন । রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, ফজলে হোসেন বাদশা এমপি,ফিরোজা বেগম চিনু এমপি, ,কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা,সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা ,রিজিওনাল কমান্ডার মীর মুশফিকুর রহমান,পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান ,জোন কমান্ডার আব্দুল আলীম চৌধুরীসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ।
সভায় বক্তারা বলেন,যে বা যারা নয়ন হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন আমরা তাদের উপযুক্ত বিচার করবো । এবং সাথে সাথে পাহাড়ীদের দু’শতাধিক বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের সাথেও যারা জড়িত তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না । পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত তৈরীকরে কেউ ফায়দা লুটতে পারবেনা । শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে যে শান্তির বাতাস বইতে শুরু করেছিলো । তা আবারো বেগবান হবে বলে আমরা আশা করি ।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুন লংগদুর যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়নকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে খাগড়াছড়িতে । পরের দিন নয়নের লাশসহ শোক মিছিল নিয়ে উপজেলা মাঠে যাওয়ার সময় মিছিল থেকে পাহাড়ীদের দোকান ও বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় । এতে পাহাড়ীদের দুশতাধিক ঘর পুড়ে যায় । এঘটনায় লংগদু থানা পুলিশ বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে । ইতোমধ্যেই ১৮ জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
৫ Comments
Kbe ses hbe eisob natok….????
শুধু আশার বাণী,
ছাড় না বলতে বলতে, সবার ইন্তেকাল হয়ে যাবে, তারপরও ছাড় না বলে থাকবে
ছাড় কাউকে দেবে না এইটা হলো মুখের কথা প্রশাসনের,অপরাধীরা ছাড় পাচ্ছে বলে দেশের আজ করুন অবস্থা।খুব একটা বাজে আইন বাংলাদেশের।
হত্যাকারী ও অগ্নিসংযোগকারী উভয়কে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক