কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত ও বেড়ে উঠার সুবিধার্থে গত ১ মে থেকে তিনমাসের জন্য বন্ধ মৎস আহরণ ও বিপনন। নিয়ম অনুসারে আসছে ১ আগষ্ট থেকে আবার শুরু হবে হ্রদে মাছ আহরণ। সেই আহরণ শুরুর মাত্র ৭ দিন আগে,২৪ জুলাই
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে রাঙামাটি জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও বিএফডিসি। সারাদেশের মতো নিয়মরক্ষার এই মাছের পোনা অবমুক্ত করার কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
শুক্রবার সকালে যৌথ আয়োজনে ফিসারি ঘাটে পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালেজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পবন কুমার চাকমা, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট রাঙামাটি উপকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজহার আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের মৎস্য বৃদ্ধিতে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনের বিশে^ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রথম স্থান অর্জনে আমাদের প্রত্যেককেই আরও আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। এবছর রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ৪২ মেট্রিকটন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছ উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়। পরে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে জব্দকরা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুসারে গত ১ মে মাছ আহরণ বন্ধ হওয়ার পর প্রতিবছরের মতো এবারো কাপ্তাই হ্রদে কয়েক টন মাছের পোনা ছেড়েছে বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএফডিসি)। মূলত: কার্প জাতীয় মাছের পোনাই হ্রদে ছাড়ে প্রতিষ্ঠানটি। পোনা ছাড়ার এই সময়ে হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়। ফলে বছরে ৯ মাস মাছ ধরা হয় দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মিঠাপানির কৃত্রিম এই হ্রদে,বাকি তিনমাস বন্ধ থাকে মাছ আহরণ ও বিপনন।