রাঙামাটির নানিয়ারচরে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের দাহ শনিবার(০৫ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাইক্রোবাস চালক সজীব হাওলাদের দাফন বরিশালে গ্রামের বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(্ইউপিডিএফ) এর একাংশের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা এবং তনয় চাকমা’র মরদেহ বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর থানায় রাখা হয়েছে। দুপুর একটায় জেলা সদরের তেতুঁলতলা এলাকায় বৌদ্ধ শ^শ্মানে এই দুইজনের দাহ হওয়ার কথা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাৎ হোসেন টিটো জানান, ‘লাশ দুটো আমাদের হেফাজতে আছে। এখান থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শ^শ্মানে নিয়ে যাওয়া হবে। এই জন্য আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অপর দিকে সুজন চাকমা ও সেতু দেওয়ানের মরদেহ মহালছড়িতে দুপুর ২টার দিকে দাহ করা হবে। মহালছড়ি থানার ওসি জোবাইরুল হক জানান, লাশ দুটি বর্তমানে পরিবারের কাছে রয়েছে। পারিবারিকভাবে দুপুরে দাহ করা হবে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত বৃহষ্পতিবার(০৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট শক্তিমান চাকমা নিহত হন। এই ঘটনায় আরো একজন গুলিবিদ্ধ হন।
শুক্রবার((০৪ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি থেকে শক্তিমানের দাহক্রিয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় রাঙামাটির বেতছড়ি এলাকায় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারীরা ব্রাশফায়ার করে। এতে ইউপিডিএফ একাংশের শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৫জন নিহত হয়। আহত হয় ৮জন। আহতদের মধ্যে ৪জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী ৪জন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রয়েছে।
এই ঘটনার জন্য প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে জনসংহতি সমিতি(এমএন লারমা গ্রুপ) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক। তবে এটি আভ্যন্তরিণ কোন্দলে হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে প্রসীতের ইউপিডিএফ।