দুর্যোগকবলিত রাঙামাটিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রাঙামাটির জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের কারণে বাজার যাতে কোনভাবেই অস্থিতিশীল না হয় সেই উদ্দেশ্যে রাঙামাটির বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকও নিজেই বাজার তদারকিতে বাজারে নেমে পড়েছেন।
রোববার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা, মো: আখতারুজ্জামান ও স¤্রাট খীসার নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং টিম জেলার প্রধান প্রধান বাজার বনরূপা, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি বাজার ও আসামবস্তি এলাকায় বাজারে দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ক্রেতা সেজে ফেনী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (দুর্যোগকালীন বিশেষ দায়িত্বে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনে দায়িত্বরত) সোহেল রানা রিজার্ভ বাজারে গেলে এক দোকানি খোলা তেলের মূল্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দাবি করেন। আর এক দোকানি এক ডজন ডিমের মূল্য ক্রেতা বেশে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ৫ টাকা বেশি মূল্যে দাবি করেন।
পরবর্তীতে মিলন দাস নামে ঐ ব্যবসায়ীকে ৫০০০ টাকা অর্থদন্ড ও আবুল কালাম নামে আর এক দোকানিকে ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। পরবর্তীতে রিজার্ভ বাজারে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটারে ১৩ টাকা বেশি নেওয়ায় বিধান নন্দী নামে এক অনুমোদিত ডিলারকে ৫০০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন সোহেল রানা। প্রতিটি বাজারের প্রায় সব দোকানে গিয়ে দুর্যোগকে কাজে লাগিয়ে বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
এ ব্যাপারে সোহেল রানা জানান, বাজার অনেকাংশেই স্থিতিশীল। দুই একজন দোকানি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেশি মূল্য নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্ত ছদ্মবেশ ও জেলা প্রশাসকের কঠোর ও নিয়মিত নজরদারিতে বাজার এখন একেবারেই স্থিতিশীল। সংবাদমাধ্যম কর্মীদের প্রতি দায়িত্বশীলভাবে লেখালেখির জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর কোথাও দ্রব্যমূল্য বেশি হলে সাথে সাথে আমাদের জানান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকতারুজ্জামান জানান, ৩০,০০০ লিটার পেট্রোল এসে পৌঁছেছে। ২০,০০০ লিটার আসছে। যা দিয়ে রাঙামাটির ৩০ দিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এখন আর বাজারে কোনও ক্রাইসিস নেই। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
এ সময় জেলা মার্কেটিং অফিসার মোশতাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
2 Comments
বরকল বাজারে ১লিটার ডিজেলের দাম এখনও ১০০টাকা
যেসব ব্যবসায়ীরা রাংগামাটিতে দুর্যো