
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙামাটি রাজবন বিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪৭তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। এটি পার্বত্যাঞ্চলে বৌদ্ধদের বৃহত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। এ দানোৎসবে প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। তবে এবার করোনা প্রকোপের কারণে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীবর দানোৎসব শেষ হয়েছে।
দানোৎসব উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ছয়টায় বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় দেব-মানবের তথা সকল প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা। ধর্মদেশনায় উপস্থিত ছিলেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্র্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। এসময় তিনি বলেন, ‘বিশাখা প্রবর্তিত এই চীবর অনুষ্ঠান বর্তমানে সার্বজনীন রূপ গ্রহণ করেছে। তবে বর্তমানে মানবসমাজ করোনার মহামারীতে আক্রান্ত। আর করোনা থেকে পৃথিবী ও মানুষকে মুক্তির জন্য বনভান্তের কাছে আমাদের প্রার্থনা করতে হবে।’
পঞ্চশীল গ্রহণের পর দুপুরে বনভান্তের মানব প্রতিকৃতির উদ্দেশ্যে কঠিন চীবর উৎসর্গ করা হয়। রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান এসময় বনভান্তের প্রতিনিধি হিসেবে এ চীবর দান করেন আবাসিক প্রতিনিধি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবিরকে।
অন্যান্য বছর এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে দেশ-বিদেশের লাখো জন সমাগম হলেও এবার অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্তের কারণে দু’দিনের অনুষ্ঠান একদিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বছর অনুষ্ঠানটি ঘিরে বিশাল মেলা বসলেও এবার কোনও মেলা হয়নি।