দুস্থ মানুষের সেবায় লংগদু জোন

পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিবেদিত প্রাণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশের সকল দূর্যোগেও সেনাবাহিনী মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায় নীরবে। ২০১৭ সালে রাঙামাটি পাহাড় ধসের উদ্ধার কাজে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। দেশের স্বাধিনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ের অবহেলিত সাধারণ মানুষকে সহযোগিতাসহ নানা সেবা দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
করোনাকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর লংগদু জোন দূর্গম সব পাহাড়ি এলাকায় ত্রাণসহ নানা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই চিকিৎসা, বাসস্থান ও শিক্ষাখাতে বেশ কয়েকজন দুস্থ মানুষকে সহযোগিতা করেছে লংগদু জোন ২১ বীর।
দরিদ্র দিনমজুর আব্দুল মালেক গত ডিসেম্বরে কাজ করতে হাত ভেঙ্গে ফেলেন। চিকিৎসার সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন লংগদু জোনের কমান্ডার বরাবর। আবেদন পেয়ে তার চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসে লংগদু জোন। এরপর খেলতে গিয়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর হাত ভেঙ্গে যায় গত ২৩ ডিসেম্বর। শিশুটির পিতা একজন প্রতিবন্ধী। তিনি লংগদু জোনে আবেদন করেন চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার। জোনের পক্ষ থেকে শিশুটির চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের দুলুছড়ি এলাকার দরিদ্র কৃষক নাগর চান চাকমা। নিজের জরাজীর্ন বসতঘরটি মেরামতের জন্য টিন ও আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন সেনাবাহিনীর লংগদু জোন বরাবর। দরিদ্র নাগর চানের ঘর তৈরির জন্য প্রায় ১০ হাজার টাকার টিন কিনে দেন সেনাবাহিনী। এছাড়াও ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সহযোগিতা করছে লংগদু জোন। পাশাপাশি দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন বেকার মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষন এবং মেশিন বিতরণসহ নানা সেবামূলক কাজ করছে লংগদু জোন।
লংগদু জোনের অধিনায়ক লে.কর্নেল মিরাজ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘সমতলের তুলনায় পাহাড়ের মানুষ বেশি দরিদ্র। এসব সাধারণ মানুষ নিয়মিত আমাদের কাছে সহযোগিতা চায়। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়াতে।’