সরকারের অভাব নেই এমন কথা জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, ‘দলমত নির্বিশেষে দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। গত বছর ৩০০ এর কাছাকাছি মানুষ বজ্রপাতে মারা গেছে, আমাদের সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।’ সোমবার দুপুরে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি মিলনায়তনে পাহাড়ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় এই সরকার আগাম প্রস্তুতি যেভাবে নেয়, এটাতে বলা যায়,বাংলাদেশে বিশে^ রোল মডেল। বিশে^র কোন দেশ এতো বেশি দুর্যোগে পড়েওনা,এতো দ্রুত দুর্যোগ মোকাবেলায়ও সক্ষম হয়না।’
মায়া বলেন, রাঙামাটি ব্যাপক ভূসিধস প্রবণ এলাকা, এখানে দুর্ঘটনার শঙ্কা বেশি। তাই পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারী সকলকে অবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। এছাড়া সরকার দুর্যোগ প্রতিরোধ বিষয়ে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে কেউ এমন আগাম প্রস্তুতি নেয়নি, সেটা কেবল আমরা নিয়েছি। এদেশে অনেকেই চায় না শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়ন করুক। তারা চায় ছেলে-মেয়েরা বিনা-পয়সায় লেখাপড়া করুক।
এসময় মন্ত্রী দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে রাঙামাটি জেলায় ৩০০ মেট্রক টন চাল, ৫ লক্ষ টাকা জি আর ক্যাশ, ৫০০ বান্ডেল টিন ও ১৫ লক্ষ টাকা ঘরবাড়ি করার জন্য বরাদ্দ দেন।
কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার, স্থানীয় সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি রিজিয়নের ব্রিগেড কমান্ডার গোলাম ফারুক, জেলা পুলিম সপিার আলমগীর কবীর। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোহসীন।
এর আগে সকালে মোটর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রাঙামাটি পুরো শহরে দুর্যোগ বিষয়ে সতর্কতা করা হয়। শোভাযাত্রাটি পৌর চত্বর থেকে শহরের দোয়েল চত্ত্বর এলাকা ঘুরে ক্ষৃদ্র নৃ-গোষ্টি মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় পাহাড়ধস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের রঙিন ব্যানার, প্লাকার্ড, ফেস্টুন ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।