রাঙামাটি জেলায় গত জুন মাসে ভয়াবহ পাহাড় ধস হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজারো পরিবার। পাহাড়ের সকল মানুষের যখন ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিলো, তখন তাদের পানি ও টয়লেটের সমস্যা দেখা গিয়েছিলো। ঠিক সে সময়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রাঙামাটির জেলার ভূমিকা ছিলো চোখে পড়ার মত। নিজেদের জনবল সংকট এবং নানান সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ঈর্ষনীয় ভূমিকা পালন করে শহরবাসির ভালোবাসা কুড়িয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তাদের এমন অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রশাসনসহ রাঙামাটির সর্বস্তরের মানুষ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে সম্মাননাও পেয়েছে এ অধিদপ্তরটি।
রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে জানান, ১৩ জুন পাহাড় ধস হওয়ার পরে ১৪ জুন থেকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়হীন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলো। তারা ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫০০ লিটারের ট্যাংক দিয়েছিলো। পানি পরিবহন করা ট্রাক দিয়ে এবং পরে আরো একটি ট্রাক ভাড়া করে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে পানি সরবরাহ করে এই দপ্তর। এছাড়া প্রতিটি পরিবারকে ১০ লিটারের পানির ঝার দেওয়া হয়েছিলো, যাতে করে প্রতিটি পরিবার নিজেদের জন্য পানি সংরক্ষণ করে রাখতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ১১ টন ফিটকিরি এনেছি, যা দিয়ে পানি পরিষ্কার করে আমরা পানি সরবরাহ করি। এছাড়া প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের মাঝে প্রায় আড়াই লক্ষ পানি পরিশুদ্ধ করার ঔষধ বিতরণ করা হয়। তা ছাড়া যে সকল আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে টয়লেটের ব্যবস্থা ছিলো না, সেগুলোতে অস্থায়ী টয়লেট বসানো হয়েছিলো।
পাহাড় ধসের ফলে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ধসে যায়, যার কারণে পানির লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সে প্রসঙ্গে প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ধস হওয়ার ফলে পানির লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, আমরা সড়ক যোগাযোগ ঠিক না থাকায় পানি পথে মালামাল এনে সে সকল লাইন ঠিক করি। যার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি রাঙামাটিবাসীকে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে।