শুভ্র মিশু
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার চার ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে দূর্গম বড়থলী ইউনিয়নের মানুষের কাছে সারাদেশের মতো নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাবেনা কোভিট ১৯ করোনা ভাইরাসের গণটিকা।
দুর্গমতার কারণে নিদিষ্ট তাপমাত্রা দিয়ে সময়মতো করোনা টিকা পৌঁছানো ‘অনেকটা অসম্ভব’ বলে এই ইউনিয়নে আগামী ৭আগস্ট থেকে শুরু হওয়া গণটিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে না বলে নিশ্চিত করেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ।
যে সকল মানুষ করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন করা সহ নানা কারণে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা দিতে অনাগ্রহী তাদের টিকার আওতায় আনতে আগামী ৭আগস্ট থেকে সপ্তাহব্যাপী শুরু হচ্ছে সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্র মতে, করোনা ভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রম সারাদেশের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটির দুই পৌরসভা এবং ৫০টি ইউনিয়নের ৪৯টিতেই সরকার নির্ধারিত সময়ে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
দুর্গমতার কারণে বিলাইছড়ির বড়থলী ইউনিয়নে নির্ধারিত সময়সূচিতে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে না, তবে বিকল্প পন্থায় ইউনিয়নটির মানুষকে পরবর্তীতে এই টিকার আওতায় আনা হবে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে ও পৌর এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্রে পরিচালিত হবে এই গণটিকা প্রদান কার্যক্রম। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনদিন দেওয়া হবে এইটিকা। টিকা গ্রহণ করতে আসা মানুষকে অব্যশই সাথে আনতে হবে এনআইডি কার্ড। সেটি দেখেই টিকা প্রদান করা হবে ১৮বছরের উদ্ধে ব্যক্তিদের।
গণটিকা কার্যক্রমে টিকা নেয়া ব্যক্তিদের আগে দেওয়া হবে টিকা পরে সংশ্লিষ্ট অফিসে টিকা গ্রহিতাদের তালিকা এনে করা হবে রেজিস্ট্রেশন । এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে জেলার প্রতিটি কেন্দ্রে দেওয়া হবে ছয়শত ডোস টিকা। তবে স্বাস্থ্যবিভাগে নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনার পরিবর্তন হলে সে সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে।
বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা জানান, আগামী ৭আগস্ট থেকে করোনা ভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। আমাদের উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে এই গণটিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। শুধু বড়থলী ইউপিতে এই কার্যক্রম আমাদের এখন পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না দূর্গমতার কারণে। পরবর্তীতে সেখানের মানুষকে বিকল্প পন্থায় এই টিকার আওতায় আনা হবে।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানিয়েছেন, কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রম আমরা সারাদেশের মতো আগামী ৭আগস্ট থেকে শুরু করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। জেলার দুই পৌরসভা এবং ৪৯টি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় আমরা বড়থলী ইউনিয়নে এই কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না। জেলার অন্যান্য দূর্গম ইউনিয়নগুলোর অনেক ওয়ার্ডে যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা যেহেতু প্রতিটি ইউনিয়নের যেকোন একটি ওয়ার্ডে কেন্দ্র স্থাপন করবো সেহেতু অন্যান্য দূর্গম ইউনিয়নগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনায় অসুবিধা হবে না।