জিয়াউল জিয়া ॥
আসন্ন রমজান উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় ভর্তূকি মূল্যে রাঙামাটিতেও ৮৭ হাজার ৩৪০ পরিবারের মাঝে টিসিবি’র পণ্য সরবারাহ করা হবে। তবে বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি, জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং, দুমদুম্যা ইউনিয়নবাসী দুর্গমতার কারণে পাচ্ছেন না টিসিবি’র পণ্য।
বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকা ৪নং বড়থলি ইউনিয়ন। উপজেলা হতে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে হেঁটে বড়থলি যেতে অন্তত চার দিন লাগে। এদিকে রুমা উপজেলার বগালেক হতে পায়ে হেঁটে যেতে লাগে দুই দিন। জুরাছড়ির মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের ঐ সব গ্রামে নৌ ও সড়ক যোগাযোগ নেই। পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে এসব গ্রামে পৌঁছাতে ৩ দিন সময় লেগে যায়। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ওই সব এলাকার মানুষের জন্য টিকা পৌঁছানো মুশকিল ছিল। পরবর্তীতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে ঐ এলাকার মানুষদের টিকার আওতায় আনা হয়।
জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা জানান, জুরাছড়ির মৈদং ও দুমদুম্যা এই দুটি ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বসবাস। করোনাকানীয় সময়ে ত্রাণ সহায়তা ও টিকা প্রদান হেলিকপ্টারের সহায়তা নেয়া হয়েছিল। এতো দুর্গম যে ঐ এলাকার লোকজন খুব বেশি প্রয়োজন না হলে সদরে আসে না। ওখানে এক কেজি জিনিস নিতে প্রায় ৫০টাকা খরচ হয়।
বিলাইড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনটি ইউনিয়নে মোট ৪ হাজার ২৮৮ জন উপকারভোগী টিসিবি’র পণ্যের সুবিধা পাবেন। কিন্তু দুর্গম ইউয়নিয়নে দুর্গমতার কারণে সেখানে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করা সম্ভব না। বিষয়টি আমি উচ্চ মহলে চিঠি আকারে জানিয়েছি। বড়থলি ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ মানুষের বসবাস।
শনিবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন, পৌরসভার মেয়ার আকবর হোসেন চৌধূরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা বিনতে আমিন ও গণমাধ্যম কর্মীগণ।
সংবাদ সম্মেলনের জেলা প্রশাসক জানান, রাঙামাটির ১০টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় ২৮জন ডিলারের মাধ্যমে ৮৭ হাজার ৩৪০ পরিবারের মাঝে রবিবার সকাল থেকে প্রথম পর্যায় ৪৬০ টাকার প্যাকেজে ২ কেজি চিনি, ২লিটার সয়াবিন, ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন কার্ডধারী পরিবার। প্রথম দিনে প্রায় ১২ হাজার কার্ডধারী পরিবার এই সুবিধার আওতায় আসবেন বলে জানান তিনি।