রাঙামাটিতে প্রথমবারের মত আয়োজিত হতে যাচ্ছে পাপেট প্রদর্শনী। তাই এ পাপেট নাটক প্রদর্শনী ব্যবস্থাপনা ও কৌশল বিষয়ক শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা। রবিবার সকালে শহরের কল্যাণপুর উদ্যােগ রিসোর্স সেন্টার সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের বাস্তবায়নে, রাঙাবী থিয়েটারের আয়োজনে ও ইউনিসেফের সার্বিক সহযোগিতায় এ দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয় রিতা চাকমা, প্রকল্প কর্মকর্তা কৃষ্ণকলি ত্রিপুরা, রাঙাবী থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও জেলা শিল্পকলার নাট্য বিষয়ক প্রশিক্ষক সোহেল রানা, ভোরের আলোর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সমন্বয়কারী মো: শফিকুল ইসলাম খান, পাপেট প্রদর্শনী বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রশিক্ষক শাহ আলম ও সালাউদ্দিন মাহমুদ বাপ্পী।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙাবী থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও জেলা শিল্পকলার নাট্য বিষয়ক প্রশিক্ষক সোহেল রানা বলেন, রাঙামাটিতে এরআগে পাপেট প্রদর্শনী হয়নি, অনেকে উদ্যোগ নিলেও তা সফল করা সম্ভব হয়নি। আমরা প্রথমবারের মত রাঙামাটিতে এ পাপেট প্রদর্শন করতে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে মানুষদেরকে নানান ধরনের শিক্ষণীয় ম্যাসেজ পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো বলে আশা রাখছি।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়ক রিতা চাকমা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে বিভিন্ন শিক্ষণীয় ম্যাসেজ পৌঁছে দিয়ে আসতেছি নাটকের মাধ্যমে। তবে রাঙামাটিতে এ প্রথম আমরা পাপেট নিয়ে কাজ করা শুরু করেছি। আশা করছি বিভিন্ন উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ এ পাপেট প্রদর্শনীর মাধ্যমে নানা ধরনের শিক্ষণীয় ম্যাসেজ পাবেন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পার্বত্যবাসীর জন্য এভাবে কাজ করে যাবেন সর্বদা ও এ কাজে ইউনিসেফ পাশে থাকবেন বলেও আশা করেন তিনি।