খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজে জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ৬ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এর মধ্যে দুই জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে এবং ২জন দীঘিনালা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে জেএসএস (এমএন লারমা)। অপরদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে কলেজ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে।
আহতরা হলেন, রনজিত চাকমা (২০), অমর বিকাশ চাকমা (২০), শুভরন চাকমা (২০), নেচার চাকমা (২০), সুকেশ চাকমা (২০) এবং পিন্টু চাকমা (২০)। এরা সকলেই কলেজ ছাত্র ।
জেএসএস (এমএন লারমা) এর পক্ষ্য থেকে দাবী করা হয়েছে আহতরা সকলেই তাদের ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কিরিচ ও রড নিয়ে হামলা চালায় আক্রমনকারীরা। এবং হামলার পর খুব দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলেও যায়। প্রত্যক্ষদর্শী দ্বিতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্র মৃনাল কান্তি চাকমা জানান, আক্রমানকারীরা সকলেই ছিল অপরিচিত মুখ। তবে সবার হাতে রড, কিরিচ ও দা ছিল।
জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থীত পিসিপি’র কলেজ শাখার সভাপতি জেনিথ চাকমা হামলার ঘটনার জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থীত পিসিপিকে দায়ী করেছেন।
ইউপিডিএফ সমর্থীত পিসিপি’র উপজেলা শাখার সভাপতি নিকেল চাকমা জানান, এ ঘটনায় তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ঝিমিত চাকমা জানান, আহতরা সকলেই কলেজছাত্র এবং আক্রমনকারীদের মধ্যেও কলেজ ছাত্র দেখা গেছে।
আহতদের চিকিৎসা দেন দীঘিনালা উপজেলা হাসপাতালের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম। রাশেদুল জানান, গুরুতর আহতদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
অপরদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বিকালে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। কলেজ শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মৃনাল কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেএসএস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সমীর চাকমা, যুবনেতা জ্ঞান চাকমা এবং ছাত্রনেতা পিন্টু চাকমা। সমাবেশ থেকে ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ সমর্থীত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে দায়ী করে বলা হয়, হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে উপজেলা শাখার সভাপতি নিকেল চাকমা, সম্পাদক জীবন চাকমা, কলেজ শাখার সভাপতি রিটেন চাকমা ও সহ-সভাপতি অন্তর চাকমা। এদের কলেজ থেকে বহিস্কারের দাবী জানিয়ে দোষীদের তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন আছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
1 Comment
ভালো উদ্ধোগ