পার্বত্যাঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপাসনালয় দীঘিনালার বনবিহারে অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান মহান দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাখো মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপি (বৃহষ্পতিবার-শুক্রবার) অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্ম দেশক ছিলেন শ্রীমত নন্দপাল মহাস্থবির।
বিহার অধ্যক্ষ প্রিয়নন্দ মহাস্থবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্য ধর্ম দেশকের মধ্যে ছিলেন, শ্রীমত তেজবংশ মহাস্থবীর। বৃহষ্পতিবার সন্ধায় ৮৪ হাজার বাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে বিশাখা প্রবর্তিত দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করা হয়। এর পর রাত ভর দলবদ্ধ ভাবে বসে নারীদের চলে বেইন বুনা প্রতিযোগিতা। রাতেই তুলা থেকে সুতা তোলে সেগুলো রং করে শুকিয়ে সূর্যাদয়ের পূর্বেই শেষ করা হয় বেইন বুনা বা চীবর বনানো। এক রাতের মধ্যে তৈরি করার কারনেই এর নাম হয়েছে কঠিন চীবর। চীবর হলো ভিক্ষুদের জন্য তৈরি করা কটি বন্ধনী। শুক্রবার দুপুরে লাখো মানুষের সমাগমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভিক্ষুগনকে চীবর দান করা হয়; এর পর শুনা হয় ধর্মীয় দেশনা।
অনুষ্ঠানের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, বৌদ্ধ পূজা, শিবলী পূজা সহ নানাবিধ দান। বিকালে ফানোস উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়। দীঘিনালা বন বিহারের সাধারণ সম্পাদক তৃদীপ চাকমা জানান, পার্বত্যাঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় গুরু রাঙ্গামাটি রাজ বন বিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ বনভান্তে শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির দীঘিনালার এ বন বিহারে ১৯৬০ ইংরেজী থেকে একাধারে দশ বছর ধ্যান করে আধ্যাতিক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। আর এ বিহারের শ্রীমত নন্দপাল মহাস্থবির বনভান্তের প্রধান শিষ্য। সে কারনে ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের বিবেচনায় এ বন বিহার রাঙ্গামাটির রাজ বন বিহারের পরের স্থানে। আর জন সমাগমের বিবেচনাতেও দীঘিনালার বন বিহার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
এইমাত্র প্রকাশিতঃ
- আবারো রাতের আগুনে পুড়লো কলেজ গেইট বাজার
- বন্যার্তদের সহায়তায় বিএনপি’র অর্থ সংগ্রহ
- রাঙামাটিতে এপিবিএনের টহল কার্যক্রম শুরু
- কাউখালীতে আটক ১
- বান্দরবানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা
- লামা উপজেলা ও পৌর শ্রমিকলীগের কমিটি
- নানান আনুষ্ঠানিকতায় রাঙামাটিতে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত
- একটা গাছ কাটলে, দুইটা গাছ লাগাতে হবে: পার্বত্য মন্ত্রী