জাকির হোসেন, দীঘিনালা ॥
জেলার দীঘিনালায় একটি খেলার মাঠের জায়গা দখল করে ব্যবসায়িক ভবন নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় প্রশাসন ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভূমির কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে জমির মালিকানাধীন দাবিদারদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
ঘটনাটি উপজেলার ছোটমেরুং পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন খেলার মাঠকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার বিকালে ফেসবুকে নিজের আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন ছোটমেরুং এলাকার বাসিন্দা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেন। সেখানে তিনি লেখেন, ছোটমেরুং খেলার মাঠের জায়গা দখল করে এস্কিভেটর দিয়ে মাটি কেটে কাঠ ব্যাবসায়ি সমিতির ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার। এরপর থেকেই পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় এলাকায়। বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের সীমানা ঘেঁষে চলছে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ। এতে নির্মাণাধীন ভবনের আড়ালে পড়ছে মাঠের দর্শক গ্যালারিটি।
সেখানে উপস্থিত থাকা কাঠ ব্যাবসায়ি সমিতির সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সমিতির সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে। ব্যক্তি মালিকাধীন জায়গা ক্রয় করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, ‘কেএম ইসমাইলকে কাঠ ব্যাবসায়ি সমিতিতে সদস্য না রাখার কারণে তিনি মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা মেরুং এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন জানান, খেলার মাঠের দর্শক গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে মাঠের জায়গার মধ্যে, সেদিকটা দেখলেই বুঝা যায় নির্মাণাধীন ভবন মাঠের জায়গায় তোলা হচ্ছে।
অপরদিকে মেরুং কাঠ ব্যাবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াজ করনী জানান, নির্মাণাধীন ভবনের জায়গাটি স্থানীয় শফি ডাক্তারের নিকট থেকে ক্রয় করে নেওয়া হয়েছে। যা শফি ডাক্তারের নামে বন্দোবস্তিকৃত।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাউসার হামিদ জানান, খেলার মাঠের জায়গা দখলের আশংকায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। মাঠের জায়গা কোনক্রমেই বেদখল হতে দেওয়া হবে না। আপতত ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমিতির লোকজনকে তাদের স্বপক্ষের ভূমির কাগজপত্র নিয়ে অফিসে ডাকা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জানান, ভূমি অফিসে কাগজপত্র যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।