খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলে নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে পরিবারের অন্য তিন সদস্য জেলা সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। ঘটনাটি শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বেতছড়ি এলাকার বিভূতিরঞ্জন কার্বারী পাড়াতে।
নিহত কালামিলে চাকমা (৪৫) যতীরঞ্জন চাকমার স্ত্রী ও তাঁর ছেলে সত্যজীবন চাকমা (২৬)। এছাড়া আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন যতীরঞ্জন চাকমা (৬০) এবং তাঁর দুই কন্যা এন্টি চাকমা (২০) এবং মেন্দিসোনা চাকমা (১৩)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীঘিনালা থেকে মেরুং পর্যন্ত ১১হাজার কেভি’র বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি যতীরঞ্জন চাকমার বাড়ির উপড় দিয়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের একটি খুঁটির টানা দেওয়া তারটিও যতীরঞ্জন চাকমার উঠানে। ঘটনার সময় ১১হাজার কেভির একটি মুল তার ছিড়ে পরে টানা তারের উপড় দিয়ে যতীরঞ্জন চাকমার উঠানে। মাটিতে তারটি লাগার পর আগুন জ্বলছিল। তা দেখে ভয় পেয়ে যতীরঞ্জনের ঘরের লোকজন দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে বাম পাশ দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক তখনি টানা দেওয়া তারের সাথে জড়িয়ে মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে।
দীঘিনালা হাসপতালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টদের চিকিৎসা দিয়েছেন উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রাশেদ আলম। রাশেদ আলম জানান, কালামিলে চাকমা ও সত্যজীবন চাকমাকে হাসপতালে পৌছানোর আগেই মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তাঁর সংস্কার না করার অভিযোগ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিঃ স্থানীয় সুপর্ণা চাকমা (৪০), রুবিতা চাকমা (৩০)সহ একাধীক লোকজন অভিযোগ করে জানান, এ তারটি হালকা ছিড়া অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ঝূঁকিপূর্ন এ তারটি মেরামত করার জন্য দুই বছর আগে থেকেই বিদ্যুৎ অফিসকে জানানো হচ্ছে; কিন্তু তারা কোন গুরুত্বই দেয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারণে আজ একটি পরিবার পুরো মৃত্যুপুরিতে পরিণত হলো।
খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাফর জানান, ঘটনা তদন্ত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে বিদ্যুৎ বিভাগের কারো গাফিলতির প্রমান পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
1 Comment
No