খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাবুছড়া এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটি নিচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাজের জন্য। দিনের বেলায় প্রকাশ্যে স্কেবেটর দিয়ে পাহাড় কেটে ৬টি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন করা হচ্ছে। তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর পাহাড় কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সওজকে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। দীঘিনালা পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাবুছড়ার বাঘাইছড়িমূখ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে একটি পাহাড় প্রকাশ্যে স্কেবেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে। ৬টি ট্রাক্টরের সাহায্যে পাহাড় কাটা মাটি গুলো পরিবহণ করে বিকল্প সড়কের মাটি ভরাট করা হচ্ছে। স্কেবেটরের চালক হাবিবুর রহমান জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন কাজের বিকল্প সড়ক তৈরি করার জন্য মাটি ভরাটের কাজে পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। কাজটি পেয়েছেন কুমিল্লার জাকির এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
জাকির এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, বাঘাইছড়িমূখ খালের সেতুটির কাজ করা হবে। তাই সেতুর পাশে বিকল্প সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। সড়কের জন্য মাটি প্রয়োজন বিধায় পাহাড়টি কেটে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে তিনি পাহাড় কাটার কোন অনুমতি আছে কিনা তা তাঁর জানা নেই বলে জানান।
দীঘিনালা পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক পলাশ বড়–য়া বলেন, ‘রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে এত মানুষের প্রাণহানী ঘটনা ঘটার পরও কি সওজের বোধদয় হয়নি? বিকল্প সড়ক তৈরি কিভাবে করবে তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বুঝবে। অবৈধভাবে এভাবে পাহাড় কাটা কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। অবশ্যই পাহাড় কর্তনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। পাহাড় কাটার বিষয়টি সওজ কোনভাবেই দায় এড়াতে পারে না।’
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস শহিদ বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিভাবে বিকল্প সড়ক তৈরি করবে সেটা তাদের ব্যাপার। পাহাড় কাটার বিষয়ে সওজের কোন দায় নেই।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ. শহিদুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রশাসনিকভাবে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।