ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দীঘিনালা ইউনিটের সংগঠক কালো প্রিয় চাকমা বুধবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার জামতলিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক ইউপিডিএফ সদস্য নিহত ও অপর তিন জন আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকাল সোয়া নয়টার দিকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী লান কুমার ত্রিপুরার নেতৃত্বে ৭ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল দীঘিনালা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে জামতলির ছাত্রাবাস এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর পোষাক ও সবুজ রঙের পোষাক পরিহিত ছিল। তাদের এলোপাথারি গুলিতে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য সাইন চাকমা ওরফে সুপার (২৩) শহীদ হন। এছাড়া অনিল ত্রিপুরা (৪০),মিলন ত্রিপুরা (২৮) ও রুবেল চাকমা (২৬) আহত হন। তাদের মধ্যে অনিল ত্রিপুরার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
হামলার পর পরই আইনশৃংখলারক্ষাকারি বাহিনী ঘটনাস্থলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উক্ত ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘কোন কোন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরস্ত্র সাধারণ ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলাকে “দুই পক্ষের গোলাগুলি” বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
তিনি যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য সংবাদ মাধ্যমে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানান।
‘জনগণ একদিন মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে’ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলা, খুন, জেল জুলুম, মিথ্যা মামলা তথা দমন পীড়ন চালিয়ে ইউপিডিএফ-এর নেতৃত্বে পরিচালিত গণআন্দোলনকে অতীতে স্তব্ধ করা যায়নি, ভবিষ্যতেও কখনই যাবে না। ইউপিডিএফ জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায় করে ছাড়বে।’
ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।