খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বন্যাকবলিত কিছু এলাকার উন্নতি হলেও মেরুং ইউনিয়নের বিস্তীর্ন এলাকা এখনো পানির নিচে। দীঘিনালা-লংগদু সড়কের বাচামেরুং, বড়মেরুং এবং ছোটমেরুং বাজার এলাকা পানির নিচে থাকায় দীঘিনালার সাথে লংগদুর সড়ক যোগাযোগ এখনো শুরু হয়নি।
বৃহষ্পতিবার বিকালে গিয়ে দেখা গেছে, ছোটমেরুং বাজার, হাজাছড়া, সোবানপুরসহ বেশ কয়েক গ্রাম এখনো সম্পূর্ন পানির নিচে। শুধুমাত্র মাঈনী নদীর উজানের এলাকা উপজেলা সদর, কবাখালি, মধ্যবোয়ালখালি, মধ্যবেতছড়ি, বেতছড়ি এলাকার কিছু অংশ থেকে পানি নেমেছে। উজানের পানি নামার কারণে মাঈনী নদীর ভাটির এলাকা মেরুং এর কিছু অংশে পানি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। মেরুং ইউনিয়নে এখনো ৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০০ পরিবার অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান রহমান কবীর রতন। আশ্রয়েেকন্দ্রে থাকা লোকজনদের গতকালও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে ত্রাণসামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবকমল চাকমাসহ তিনি নিজে গিয়ে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। ত্রাণ সামগ্রিতে প্রতি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ১০ কেজি হারে চাল, ৫০০গ্রাম করে ডাল, লবন, পিয়াজ ও সোয়াবিন তেল।