
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানা এলাকার দালাল, টাউট, বাটপারদের তালিকা প্রকাশ করেছে দীঘিনালা থানা পুলিশ। প্রাকাশিত তালিকায় তিনজনের একজন আওয়ামীলীগ ও দুইজন জাতীয় পার্টির নেতা।
থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষদের যেন হয়রানী করতে না পারে এবং স্থানীয়রা যেন এদের চিিহ্নত করতে পারেন তাই এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার থানায় গিয়ে দেখা গেছে থানা ভবনের বিশাল নোটিশ বোর্ডে কাঁচের ভেতর কম্পিউটার কম্পোজ করা তালিকা সাটানো হয়েছে। নামের তালিকার উপরের অংশে বড় অক্ষরে লেখা রযেছে, ‘দীঘিনালা থানা এলাকার দালাল, টাউট, বাটপারদের তালিকা’। প্রথম অবস্থায় তালিকায় তিনজনের নাম থাকলেও কর্মকান্ড অনুযায়ী এ তালিকায় দালালের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে থানা সূত্র দাবী করেছে।
প্রাকাশিত তালিকায় নামের সাথে বাবার নাম ও ঠিকানাও উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে ১নম্বর ক্রমিকে মো. জামাল হোসেন (৪৫), পিতা মৃত- আব্দুল মান্নান, সাং- কবাখালি। ২নম্বর ক্রমিকে মো. সোলাইমান আলম ওরফে রাজ (৩০), পিতা-মো. সুরুজ আলি, সাং- মধ্যবেতছড়ি। আর তিন নম্বর ক্রমিকে মো. আব্দুল খালেক সরকার (৫০), পিতা মৃত- মমতাজ উদ্দিন, সাং-মধ্যবোয়ালখালি (অনাথ আশ্রম)।
দলীয়সূত্রে জানা যায়, জামাল হোসেন আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এবং উপজেলার কবাখালি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি। সোলাইমান আলম জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র সমাজের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক। আর আব্দুল খালেক উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, যারা টাউট, বাটপার এবং থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় দালালি করে, সাধারণ মানুষদের হয়রানী করে তাদের তালিকা করা হয়েছে। স্থানীয়রা যেন এদের চিনতে পারে তাই তালিকাটি তৈরির পর মঙ্গলবার নোটিশ বোর্ডে ঝুলানো হয়েছে।