ত্রাণ পেয়েছে রাঙামাটির ৫২ হাজার পরিবার

করোনা প্রাদুর্ভাব এড়াতে সারাদেশের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটির জনসাধারনও হয়ে পড়েছে ঘরবন্দি। ইতোমধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন ও মধ্য আয়ের ৫২হাজারের বেশি মানুষের কাছে ৭ দফায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষের জন্য আরো ত্রাণ সহযোগিতা আসছে,এমন আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
করোনা পরিস্থিতিতে যাতে কারো না খেয়ে থাকতে না সেজন্য সরকারের কাছ থেকে প্রেরিত ত্রাণ সামগ্রী জেলা প্রশাসনের তদারকিতে পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা পর্যন্ত।
সোমবার রাঙামাটি পৌর এলাকায় ৭ম দফায় ৯ ওয়ার্ডে ৩হাজার ৬শত মানুষের মাঝে ১০মেট্রিক টন চাল ও দেড় লক্ষ টাকার চানা বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে প্রতি পরিবার পেঁয়েছে ১০ কেজি চাল ও ৫শত ৩৫গ্রাম করে চানা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার লাইলাতুল হোসেন জানিয়েছেন, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৭২২.৫ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৪৩লক্ষ ৭০ হাজার টাকার ত্রাণ প্রদান করা হয়েছে। যা ৫২ হাজার ৮ শত ৬৪ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৯লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য ২ হাজার ৯শত ৯৪জনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ৭দফায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আমরা সরকারি ভাবে ১৫৬ মেট্রিকটন চাল ও প্রতিবার ভিন্ন ভিন্ন অংকের টাকা পেঁয়েছি করোনা প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য। যা আমরা প্রতি পরিবারকে ১০কেজি চাল ও আর্থিক সহযোগীর টাকা প্রথমবার নগদ ১শত টাকা করে দিলেও পরর্বতী থেকে এই টাকা দিয়ে আলু বা চানা ক্রয় করে সমভাগে বিতরণ করেদিয়েছি। এই ত্রাণ সামগ্রী পৌর এলাকার ১৫ হাজার ৬০০ পরিবার পেঁয়েছেন।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনর রশিদ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ইতোমধ্যে সরকারি যে সকল ত্রাণ সহযোগিতা পাঠানো হয়েছে তা আমরা ক্রমান্বয়ে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আরো ত্রাণ সহায়তা আসবে তাও আমরা জনসাধারণে কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিব। তবে রাঙামাটিবাসীর কাছে একটাই আহবান জানাচ্ছি আপনার ঘরে থাকুন, সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন, যাতে কোন ভাবেই করোনা সংক্রামণ ছড়াতে না পারে এই পার্বত্য রাঙামাটিতে।