অরণ্য ইমতিয়াজ
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে পার্বত্য জনপদ রাঙামাটির মানুষ। শহরের চারদিকে বিস্তৃত কাপ্তাই হ্রদ কিংবা সবুজ বনানী,কোনকিছুই যেনো প্রভাব ফেলছে না সুতীব্র গরমে।
সোমবার জেলায় তাপমাত্রা ছিলো ৩৭ ডিগ্রি সেলসেসিয়াস,যা জেলার গড় তাপমাত্রার চেয়েও বেশি এবং এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। তবে সোমবারই কোন কোন সময় এই তীব্র তাপদাহ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসও অতিক্রম করেছে।
আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করে থাকে এমন একাধিক সাইট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাঙামাটি জেলায় সাধারন গ্রীষ্ম মৌসুমে গড় তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২০ সালেও জেলায় গড় তাপমাত্রা ছিলো সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি এবং সর্বনি¤œ ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিন্তু এই মৌসুমে তাপমাত্রা যেনো পুরনো রেকর্ড ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ২৬ এপ্রিল বুধবার জেলার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে এবং সর্বনি¤œ ছিলো ২৬ ডিগ্রি।
তবে সবচে ভয়ের কথা হলো, আসছে দিনগুলোতে আরো বেশি মাত্রায় তাপদাহ হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে আবহাওয়া বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাইটগুলোতে। একাধিক দায়িত্বশীল সাইটের তথ্য বলছে, এই তীব্র তাপদাহ আরো কদিন চলবে এবং তা এমাসেই ৩৭ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে। শুধু এপ্রিল মাসেই এই শেষ সপ্তাহেই নয়, মে মাস জুড়েই তীব্র দাপদাহ থাকার ইঙ্গিত মিলছে এসব ওয়েবসাইটে। এই সময়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও কম বলে তথ্য মিলছে ওয়েবসাইটগুলোতে। একইসাথে বৃষ্টিপাত হলেই এই তীব্র তাপদাহ কমে আসবে এমন আশাবাদের কথাও জানাচ্ছে সাইটগুলো।
সারাদিনই সংবাদের প্রয়োজনে ছুটে চলা দুটি সার্বক্ষণিক টিভি চ্যানেল এর সংবাদকর্মী সময় টেলিভিশনের হেফাজত উল বারি সবুজ জানাচ্ছেন, আমরা সাধারণত নিউজ চ্যানেলের সংবাদকর্মী হওয়ায় সারাদিনই মাঠে থাকতে হয়। কিন্তু অসহনীয় গরমে কাজ করা ভয়ংকররকম কঠিন হয়ে উঠেছে। দুপুরে মোটর সাইকেলে বসলেও মনে হয় যেনো পিঠ পুড়ে যাচ্ছে। এই বছর গরম বেশ ভোগাবে মনে হচ্ছে।’
চ্যানেল-২৪ এর সংবাদকর্মী জিয়াউল হক বলছেন, ‘ অসহ্য গরম পড়ছে। এই পরিস্থিতি দিনের বেলায় কাজ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এবছর গরম বেশি পড়ছে বলেই মনে হচ্ছে।’