
মোঃ মহিউদ্দিন, বাঘাইছড়ি ॥
বাঘাইছড়িতে ইউপি মেম্বার সমর বিজয় চাকমাকে হত্যার ৩ দিন পরও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সকালে রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক জরুরি মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদে ঢুকে গুলি করার ঘটনায় সকলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এছাড়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অফিস, মার্কেট ও মোড়ে নিরাপত্তা জোরদারে সিসি টিভির আওতায় আনাসহ প্রত্যাহারকৃত সকল নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন বলেন, আমরা মামলার এজাহারে নামীয় আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। শীঘ্রই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল এএসপি আবদুল আওয়াল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, ওসি বাঘাইছড়ি মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, পৌর মেয়র জাফর আলী খান, প্রেস ক্লাব সভাপতি দীলিপ কুমার দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামুন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাচালং সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক মীর কামাল হোসেন, নাগরিক পরিষদের নেতা আবসার আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার উপজেলা পরিষদে ঢুকে ইউপি সদস্য ও জেএসএস (এমএন লারমা) নেতা সমর বিজয় চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেদিন রাতেই জেএসএস (সন্তু) লারমা দলের ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত সমরের ভাই ইউপি সদস্য বিনয় চাকমা। ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।