রাঙামাটির লংগদুতে ঐতিহ্যবাহী তিনটিলা বনবিহারে ফাল্গুণী পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে । শুক্রবার সকাল নয়টায় পাঁচশতাধিক দায়ক-দায়িকা ও পূণ্যার্থীদের অংশগ্রহনে দিনব্যাপী বুদ্ধমূর্তি দান ,অষ্টপরিস্কার দান, মহাসংঘদান ,অষ্টবিংশতি বুদ্ধপূজা, ত্রিপিটক পূজা, চুরাশি হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দানসহ নানাবিধ দানানুষ্ঠানে পূজ্য বনভান্তের সুযোগ্য শিষ্য সংঘের শুভাগমনে ফাল্গুণী পূর্ণিমা পালিত হয় ।
এসকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দেশনা প্রদান করেন পরম শ্রদ্ধেয় বনভান্তে’র দ্বিতীয় শিষ্য আর্ন্তজাতিক ভাবনাকেন্দ্র ফুরোমন রাঙামাটির অধ্যক্ষ ভৃগু মহাস্থবীর ।
তিনি বলেন, বৌদ্ধধর্ম শুধু আনুষ্ঠানিকতার ধর্ম নয়, এটা মনস্তাত্ত্বিক এক অন্তরজগতের ধর্ম। অর্থাৎ মনযোগ সহকারে চিত্তকে নিয়ন্ত্রন করে আচার আচরণ লালণ পালন করাই বৌদ্ধের ধর্ম। বুদ্ধের শাসনের ধর্ম, বনভান্তের শাসনের ধর্ম স্থিতি এবং শ্রী বৃদ্ধিকল্পে আমরা জ্ঞানযোগে সমঝোতা সমন্বয় ও সম্প্রীতির মধ্যদিয়ে মৈত্রীর সেতু বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অপরের পরিপূরক ও সহায়ক হয়ে জীবনকে স্বার্থক ও সফল করে সকল দুঃখ হতে মুক্ত হয়ে ণির্বানলাভ করতে পারি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও দেশনাদান করেন, রাঙামাটি রাজবন বিহারের ভান্তে দেবানন্দ মহাস্থবীর, পূন্যজ্যোতি মহাস্থবীর , শুভলং শ্রাবস্তি বনবিহারের অধ্যক্ষ সাংগুসার মহাস্থবীর, প্রশান্তি অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ শুভপ্রিয় স্থবীর প্রমূখ ।
তিনটিলা বনবিহার পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য সুমন বিকাশ চাকমা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙামাটির পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জানে আলম, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র সুরথ চাকমা ।
পরম শ্রদ্ধাভাজন বনভান্তের স্মৃতিধন্য তিনটিলা বনবিহারে ৫০ ফুট উচ্চতার বুদ্ধমূর্তি নির্মানে শ্রদ্ধাদান প্রদানে আগ্রহী পূণ্যর্থীদের সহযোগীতা করার আহবান করেছেন বিহার কমিটি।