ডিসির তহবিলে ২০১১ ব্যাচের পঞ্চাশ হাজার টাকা

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বের সকল মানুষ যেখানে ঘরবন্দী এবং নিম্ন আয়ের মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তখন পার্বত্য জেলা রাঙামাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। জেলার সেই সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাঙামাটির এসএসসি ২০১১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার দুপুরে কাছে ঈদ শপিং না করে ও হাত খরচের সেই অর্থ তুলে দিয়েছে তারা রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের করোনা তহবিলে।
এসময় ১১ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, ঈদে প্রত্যেকেই আমরা কমবেশি কেনাকাটা করে থাকি। এবার সেটা না করে করোনা মহামারির কারনে নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা। এভাবেই সকলেই যদি মানবিক দিক বিবেচনায় এগিয়ে আসে তাহলে শহরের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো আরো সুন্দর ভাবে চলতে পারবে।
একই সাথে তারা তিন পার্বত্য জেলার জন্য রাঙামাটিতে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল, করোনা নমুনা পরীক্ষার জন্য রাঙামাটিতে পিসি আর ল্যাব, জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ ব্যবস্থার দাবি জানান সরকারের কাছে।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, স্কুল জীবন শেষে এটাই ছিল আমাদের প্রথম ঐক্যবদ্ধভাবে কিছু করার চেষ্টা। যা আমরা করতে সক্ষম হয়েছি, এটাই আমাদের আত্মতৃপ্তি যে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। সব বন্ধুরা আমাদের এই কাজে সাড়া দিয়েছে, যারা পেরেছে, যতটুকু পেরেছে তা দিয়েছে, বাকিরাও আমাদের পাশে ছিল এই কাজে। ভবিষ্যৎতেও ব্যাচ ১১ যেকোন দূর্যোগে মানুষের পাশে দ্বারানোর চেষ্টা থাকবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন অসাধারণ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, এই দুর্যোগকালীন সময়ে তাদের দেয়া ৫০ হাজার ১১ টাকা সাধারণ মানুষের জন্য ব্যয় করতে পারবো।
জেলা প্রশাসককে অর্থ প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ১১ব্যাচে শিক্ষার্থী বিশাল চৌধুরী, সজিব আলম, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মিশু দে, হোসেইন ইকবাল প্রমুখ।
করোনা ফ্রান্ডে দানের অর্থ বিদ্যালয় ভিত্তিক সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর ১১ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম সবুজ, বিশাল চৌধুরী, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারমিতা দাশ, সোনালী চাকমা, লেকার্স পাবলিক স্কুলের সজিব আলম, শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হোসেইন ইকবাল, মুজাদ্দেদি আল ফেসানীর শিক্ষার্থী হাবিব, তৈয়ব বিন ফরহাদ মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।