খাগড়াছড়ির দীঘিনালার নয়মাইল ত্রিপুরা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ ছুঁইয়ে পড়ে পানি; ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের বই-খাতা। এ অবস্থাতেই চলছে পাঠদান। ভবন নির্মাণের ২১ বছরেও এটি সংস্কার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ১৯৮৮ সালে স্থাপিত হয় নয়মাইল ত্রিপুরা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাকা ভবন নির্মিত হয়েছে ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭৭জন। গত পিএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ছিল শতভাগ। ২৪জন পিএসসি পাশ করে, এর মধ্যে দুইজন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার দিক থেকে বিদ্যালয়টির যথেষ্ট সফলতা থাকলেও জরাজীর্ণ ভবনের কারণে শিক্ষার্থীদের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। ভবনের ভিতরের অংশেই অনেক জায়গায় ফাটল; খসে পড়েছে পলেস্তারা। সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণীকক্ষের উপরে ছাদ ছুঁইয়ে পানি পড়ছে শিক্ষার্থীদের বইসহ শরীরে। শিক্ষার্থীদের জন্য এ যেন এক আতংকের ভবন।
৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী উৎস ত্রিপুরা, নতুন বালা ত্রিপুরা, ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আইচুকটি ত্রিপুরা, সোহেল ত্রিপুরা, ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাধব ত্রিপুরা, ধরীত্রি ত্রিপুরা জানায়, ভবনের অবস্থা দেখে শ্রেণীকক্ষে বসেও থাকতে হয় আতংকের মধ্যে। এছাড়া বৃষ্টি হলে ছাদ ছুঁইয়ে যেভাবে পানি পড়ে তাতে মনেই হয় না একটি পাকা ভবনের মধ্যে অবস্থান করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সূর্যশ্বর ত্রিপুরা জানান, প্রতিদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ; যা অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু ভবন সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সকলেই রীতিমতো চিন্তিত থাকেন সব সময়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ কিশোর ত্রিপুরা জানান, ভবন নির্মাণের পর এত বছরেও সংস্কার করা হয়নি। কিন্তু বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকেই জানানো হয়েছে।