
সুহৃদ সুপান্থ
বুধবার রাত আড়াইটায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা জয় ত্রিপুরার হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতার-শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সকাল দশটায় শহরে কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়ে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ।
জয়কে হত্যার পর বৃহস্পতিবার তার দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার খবর শুনেই ঘটনাস্থলে যান ছাত্রলীগ নেতারা। অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান ভাষায় স্ট্যাটাসও দেয়। অনেকেই জয়কে নিয়ে নানান স্মৃতিচারণ করেন। ব্যতিক্রম ছিলেন না ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও।
তবে নানা কারণেই তাৎক্ষনিক কর্মসূচী নিতে পারেনি সংগঠনটি। সহযোদ্ধা হত্যাকান্ডের ঘটনায় সংগঠনটি কর্মসূচী ঘোষণা করে শুক্রবার সকাল দশটায়,যা হত্যাকান্ডের প্রায় ৩২ ঘন্টা পর ! বিষয়টি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ব্যর্থতা বলছেন কেউ কেউ।
এই প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন-‘ মূলত: ১৭ মার্চে জাতির জনকের জন্মদিনের নানান কর্মসূচী ও নিহত জয়ের লাশের ময়নাতদন্ত,দাহক্রিয়াসহ নানা কারণে বৃহস্পতিবার কর্মসূচী পালন করতে পারিনি আমরা। তাই শুক্রবার সকালে কর্মসূচী দিয়েছি। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এবং এর সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকনা কেনো তাদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।’
প্রকাশ চাকমা একই সাথে,রাঙামাটি শহরের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, জয় হত্যাকান্ডই যেনো শহরের সর্বশেষ হত্যাকান্ড হয়। আর কেউ যেনো এমন ঘটনার শিকার না হয় সেইজন্য শহরের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’
এদিকে হত্যাকান্ডের শিকার জয় ত্রিপুরার হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগ তাৎক্ষনিক কর্মসূচী পালন না করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন অনেকেই।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাসিরউদ্দিন সোহেল ফেসবুকে লিখেছেন ‘রক্ত কেমন যেন হিম শীতল হয়ে গেছে নিজের ভাইয়ের মৃত্যুতেও রাজপথ চুপচাপ!’
তার সাথে সম্মতি জানিয়ে বাবলু ত্রিপুরা লিখেছেন-‘আমার তো সেটাই অবাক লাগছে ভাইয়া, যা দেখছি, শুনছি, ততই অবাক। ফরমালিটিস দেখাইতে দেখাইতে ফেইসবুক শেষ ‘
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত আড়াইটা বাজে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমীরউদ্দীনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন সদর থানা ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক জয় ত্রিপুরা। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাসপাতালের প্রধান গেটে তাকে ছুরিকাঘাত করে একদল অচেনা দুর্বৃত্ত। আহত অবস্থায় তাকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন শহরের দেবাশীষনগর এলাকার বাসিন্দা প্রয়াতন খোকনময় ত্রিপুরার পুত্র জয়।