বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘গণক’ উল্লেখ করে তাকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন-‘ ফখরুল সাহেব,ক্ষমতা দেয়ার মালিক স্রষ্টা,আল্লাহ…ক্ষমতার মালিক এইদেশের জনগণ। জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে খুশি। আমরা যদি সবাই জনগণকে খুশি রাখতে পারি ভালো আচরণ করে,তবে আগামীর নির্বাচনে আবারো বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবই।’
তিনি মঙ্গলবার রাঙামাটিতে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। রাঙামাটির ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট চত্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। উপস্থিত আছেন কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপিমসহ অনেকেই।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন-‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি বারবার। বিএনপির যতবারই ক্ষমতায় ছিলো মেয়াদ শেষে জনগণই তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়েছে। ভুলে গেছেন তারা। ভুলে গেছেন ৯৬ সালের জনতার মঞ্চের কথা।’
‘পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন-‘পদ্মা সেতু হয়ে গিয়েছে,জুনে উদ্বোধন হবে। মানুষ খুশি। সারা বাংলার মানুষ আনন্দে উল্লসিত। শুধুমাত্র ফখরুল এবং বিএনপি,তাদের বুকে বড় ব্যাথা। তাদের বুকে বিষজ¦ালা। এই বিষজ¦ালায় তারা আজকে দিশেহারা। মানুষ খুশি, শ্রাবণের আকাশের কালোমেঘ বিএনপির মুখ ঢেকে ফেলেছে।’
তিনি সমাবেশে উপস্থিত আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ স্বপনকে আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক,পুরনো ত্যাগি পরীক্ষিত নেতাকর্মীসহ সবাইকে সাথে নিয়ে নতুন একটি কমিটি উপহার দেয়ার পরামর্শ দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর পদভারে মুখর হয়ে উঠে রাঙামাটি শহর। ছোট ছোট মিছিল করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট চত্বরে সমবেত হয়। সেখানে জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় সম্মেলনে।
১০ টি উপজেলা,দুইটি পৌরকমিটি এবং জেলা আওয়ামীলীগসহ ২৪৬ জন কাউন্সিরর এই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং সাধারন সম্পাদক নিখিল কুমার চাকমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং সাধারন সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর ও সাবেক সাধারনসম্পাদক হাজী কামালউদ্দিন অংশ নিবেন জানিয়েছেন তারা।