
জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। শনিবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান।
এসময় বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পিতার উদ্দেশ্য ছিলো এ জাতিকে দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষায় আরো অগ্রসর ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। আর সেই লক্ষ্যেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশে এখনো একটি চক্র স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে করতে হবে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজি মো. কামাল উদ্দিন, জেলা পরিষদের সদস্য শান্তনা চাকমা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রোনাল পিন্টু, ডেপুটি কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরীসহ অন্যান্য ডেপুটি কমান্ডারগণ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটিভ জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের বিষয়টি ভেবে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সব দপ্তরে আজ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাধাণ্য দেয়া হয়েছে, বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে ত্রিশ শতাংশ কৌটা দেয়া হয়েছে।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তর সালে অস্ত্র না ধরলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। আমরাও আজ এসপি হতে পারবেন না। আমাদের এখনো শোষণ বৈষম্যের শিকার হয়ে বাঁচতে হতো।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে ধারন করে আমাদেরকে এখনো বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজাকারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এগিয়ে যেতে হবে।
আলোচনা সভার শেষে ৬ জন শহীদের পরিবার ও ৫৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ২৬ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।