জিয়াউল জিয়া
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির জেরে বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবেলায় দেশব্যাপী এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত জানানোর পর চাহিদা বেড়েছে চার্জার লাইট, ফ্যান, আইপিএস ও পাওয়ার ব্যাংকের। চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জ্বালানি তেলের সঙ্কট কমাতে সরকার এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ঘোষণার পরই বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চার্জার লাইট ও ফ্যানের চাহিদা ও দাম।
শহরের রির্জাভ বাজার, বনরুপাসহ কয়েকটি এলাকার দোকানিরা জানান, চাহিদার কারনে অগ্রিম টাকা দিয়েও চার্জার ফ্যান পাচ্ছেন না। গরম থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই স্বল্পমূল্যের ছোট ছোট চার্জার ফ্যান কিনছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা বলছেন, তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে আপাতত এই চার্জার ফ্যানই ভরসা। ক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেক দোকানি চার্জার ফ্যানের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবু বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।
রাঙামাটি শহরের মো. হারুন মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে পরিবারে। মেয়েরা স্কুলে পড়ে। এখন রাত দিন মিলে ২/৩বার বিদ্যুৎ থাকে না। তাই তিনি এসেছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বলেন, ‘মেয়েরা অনেক রাত পর্যন্ত পড়ে। তাই ওদের জন্য ফ্যান কিনতে এসেছি।’
চাহিদা থাকায় দাম বাড়ানোর বিষয়ে দোকানিদের ভাষ্য, আমদানিকারকরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় তারাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বনরুপা তুলি ইলেট্রনিক্সের মালিক অনুপম চৌধুরী বলেন, বেশি দাম দিয়েও মাল পাওয়া যায় না। এ কারণে আমাদেরও মাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চার্জার জাতীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতিদিনই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন আমদানিকারকরা। গত দুই সপ্তাহে কোনো কোনো পণ্যের দাম এক হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাইনিজ একটা চার্জার ফ্যান ছয় মাস আগে ছিল ৩ হাজার টাকা, সেটি এখন ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রির্জাভ বাজারের ইলেকট্রিক্স পণ্যের দোকানদার আবদুর রহমান বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে চার্জার ফ্যান বিক্রি তিনগুণ বেড়েছে। ক্রেতারা এখন নর্মাল ফ্যানের চেয়ে চার্জার ফ্যান বেশি কিনছেন। অগ্রিম অর্ডার দিয়েও সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝারি সাইজের ফ্যান আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। ছোট ফ্যানও ১ হাজার ৮০০ টাকা। ২ হাজার টাকার নিচে না।
রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় এখন শহরে লোডশেডিং অনেকটা কমেছে। এর কারন মানুষের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা বাজারগুলোতে রাত ৮টার মধ্যে দোকান, শপিংমল বন্ধের বিষয়ে বিভিন্ন সমিতির সাথে এর আগেও কথা বলেছি। আমরা মানুষকে বুঝিয়ে বন্ধ করতে চেষ্টা করছি। তবুও যদি কেউ বিষয়টি গুরুত্ব না দেয় তখন কঠোর সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো আমরা।
এইমাত্র প্রকাশিতঃ
- নানা আয়োজনে জাতির পিতাকে স্মরণ অভিলাষের
- রাঙামাটি শহরে আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ
- রাবিপ্রবি’র সাবেক উপাচার্য ড. প্রদানেন্দুর মৃত্যু; বিভিন্ন মহলের শোক
- মহালছড়িতে কৃষকলীগের বিক্ষোভ মিছিল
- নানিয়ারচরে নেয়া হচ্ছে অস্বাভাবিক ভাড়া; প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
- রামগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকার; শিক্ষক পলাতক
- আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু
- সাজেকে জীপ উল্টে প্রাণ হারালেন ২ জন