‘অব্যাহতি’র চাপে তাপে দিশেহারা দুই ‘প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা’ নির্বাচনের ঠিক চারদিন আগেই খেই হারা পথ ভুলে দলের চিরচেনা পথেই হাঁটলেন যেনো।
নিজের সন্তান এরশাদকে বারেক সরকার এবং ভাতিজা মো: রকিব হোসেনকে আব্দুর রহিম ‘নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা’ দিতে বাধ্যই করলেন শেষ বেলায়।
ফলে লংগদুর পাঁচ ইউনিয়নের ছয় বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে দুইজন কমে বিদ্রোহীর সংখ্যা এখন চার।
গুলশাখালির রকিব হোসেন এবং মাইনীর এরশাদ সরকার নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নিজের বাবা ও চাচা’র দলীয় পদ বাঁচাতে।
বুধবার রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর তাই তিন সঙ্গী রফিক আহমেদ তালুকদার,রফিকুল মাওলা এবং শামসুল হককে সাথে নিয়ে লংগদু পৌঁছান। সেখানেই নির্বাচনের শেষ দিন অবধি অবস্থান করে বাকি বিদ্রোহীদের সরানোর চেষ্টার পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।
মুছা মাতব্বর জানিয়েছেন, দল থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর বারেক সরকার এবং আব্দুর রহিম নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং নিজেদের প্রার্থীদের সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করছি লংগদুর অন্যান্য ইউনিয়নের প্রার্থীরাও নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিবেন।
এর আগে গত রবিবার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বারেক সরকার,সহসভাপতি ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রহিমসহ ছয় বিদ্রোহী প্রার্থী দলীয় নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয় রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ। এর জেরেই নড়েচড়ে বসলেন প্রভাবশালী এই নেতারা এবং ‘অস্তিত্বের সংকট’-এ পড়ার ভয় থেকে ফিরলেন দলীয় ¯্রােতেই।