রাঙামাটির সাংবাদিক অলি আহমেদ ও এডভোকেট জামাল উদ্দিনের বড় ভাই তবলছড়ির ব্যবসায়ী নেতা ও সমাজ সেবক আলী আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে —–রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিএসসিআরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার তিনি রাঙামাটির বাসায় আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ঐদিনই চট্টগ্রামের সিএসসিআরে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পর ঐ দিন বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গভীর রাতে তার মরদেহ রাঙামাটির মাঝের বস্তি পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয়। আলী আহমেদ এর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাঙামাটির ব্যবসায়ী, বন্ধু মহলে ও আত্মীয় স্বজনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। শুক্রবার সকালে আলী আহমেদকে শেষ বারের মত দেখতে তার বাসায় অগণিত মানুষ ভিড় করে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষ বাসায় গিয়ে আলী আহমেদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর শাহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুম আলী আহমেদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আলী আহমেদের মরদেহ দাফন করা হয়।
জীবদ্দশায় আলী আহমেদ তবলছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটির শ্যামলী পরিবহনের প্রতিনিধি হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি ব্যবসায়ী নেতা হিসাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে তবলছড়ি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও বাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মৃত্যুকালে আলী আহমেদ স্ত্রী ও ১ ছেলেসহ বহ আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
2 Comments
বড় ভালো মানুষ ছিলেন।
আলী আহমেদ মামা আমার জীবনের এক বড় অংশ। যার অনুপ্রেরণায় এবং অামার দুঃসময়ের তিনি যে সহযোগিতা করেছেন আমি জীবনেও ভুলতে পারবো না। মামা, আপনি আমাকে বিপদের সময় যে সাহস জুগিয়েছেন তার সাথে কিছুই তুলনা হয় না। আমার জীবনের দিক পরিবর্তনের বড় কারিগরগুলোর মধ্যে অন্যতম একজন আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন। খুব কষ্ট লাগছে মামা…………………..